ভারতীয় বায়ু সেনার (Indian Air Force) জন্য এই বছর ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) একটি লং-রেঞ্জ নির্ভয় অ্যাটাক ক্রুজ় মিসাইল বা (LACM) লঞ্চের পরিকল্পনা করছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ভারতের নিজস্ব বা স্বদেশী প্রতিরক্ষা ক্ষমতার একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্ভয় (Nirbhay) মিসাইল হচ্ছে একটি লং-রেঞ্জ, সব আবহাওয়ার জন্য প্রস্তুত, সাবসনিক ক্রুজ় মিসাইল। ডিআরডিও-র অধীনে, নির্ভয় মিসাইল ডিজাইন ও তৈরি করেছে অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট (ADE)। নির্ভয় মিসাইল, প্রচলিত এবং পারমাণবিক দুই ওভারহেড বহন করতে সক্ষম। ভারতের সামরিক বাহিনীর জন্য এটি একটি বহুমুখী সম্পদ। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন স্থল, সমুদ্র এবং বায়ু, সব স্থান থেকেই এই মিসাইল উৎক্ষেপণ করা যায়। অর্থাৎ, যেকোন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নির্ভয় মিসাইল ‘নির্ভয়ে’ গর্জে ওঠে।
ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত, ৬ টি সফল উন্নয়নমূলক ট্রায়ালের পর, DRDO, নির্ভয় ক্রুজ় মিসাইল ডেভেলপমেনটাল প্রোজেক্টের সমাপ্তি ঘোষণা করে। এই মিসাইলটি ৯০ % এর বেশি একটি একক-শট কিল অনুপাত প্রদর্শন করেছে। এই ফলাফল নির্ভয়-এর নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুর উপর জোর দিয়েছে।
IAF-এর জন্য আসন্ন উৎক্ষেপণ নির্ভয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চালু করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চিহ্নিত করে৷ এটি শুধুমাত্র ভারতের স্ট্রাইক ক্ষমতাই বাড়াবে না বরং এই অঞ্চলে তার কৌশলগত প্রতিরক্ষা অবস্থানকেও শক্তিশালী করবে।
এছাড়াও, DRDO, নির্ভয় মিসাইলের বিভিন্ন রূপ নিয়ে কাজ করছে, যার মধ্যে রয়েছে এয়ার-লঞ্চ এবং সাবমেরিন লঞ্চ করার সংস্করণ। এই ক্ষেপণাস্ত্রের ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে খুব সহজেই এই ডিজাইনে বিভিন্ন ধরণের পেলোড এবং মিশন প্রোফাইলগুলিকে মিটমাট করার জন্য পরিবর্তন করা যায়। পাশাপাশি, একটি জাহাজ-লঞ্চ করা সংস্করণ বর্তমানে উন্নয়নমূলক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে চলছে। এটির কর্মক্ষম বহুমুখিতাকে আরও প্রসারিত করছে।