পুজোর আবহে যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিরাট পদক্ষেপ নিয়েছে শিয়ালদহ ডিভিশন (Indian Railways)। পুজোর বাদ্যি বেজে গেছে। বিভিন্ন প্যান্ডেলে পুজোর প্রস্তুতি রয়েছে তুঙ্গে। অনেকের কেনাকাটাও প্রায় শেষের দিকে। আর এই উৎসবের আবহে যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর শিয়ালদহ ডিভিশন।
এই আবহে শুক্রবার অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর সমস্ত শাখার অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শিয়ালদহের ডিআরএম। ৯-১২ সেপ্টেম্বর যাতে যথা সময়ে ট্রেন চালানো যায় এবং লাইনের ধারে তৈরি প্যান্ডেলে যাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হবে। পাশাপাশি শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রলি (পণ্য় বহনের গাড়ি) চলাচলে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
পুজোর ক’টা দিন গ্যালোপিং ট্রেনগুলো সব স্টেশনে থামবে। আর যাতে যথাসময়ে ট্রেন চলাচল করে সেদিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হবে। শিয়ালদহ শাখার বিভিন্ন রেললাইনের আশেপাশে অর্থাৎ ৫০ মিটারের মধ্যে যেসব পুজো হয়, সেগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। দর্শনার্থীদের সাহায্যের জন্য ‘মে আই হেল্প ইউ’ নামক স্পেশাল বুথ থাকবে। এই সহায়তা কেন্দ্রগুলো থেকে সাহায্য চাইতে পারবেন যাত্রীরা।
পুজো চলাকালীন বারাসাত, খড়দহ, বালিগঞ্জ, বারাকপুর, সোনারপুর, বনগাঁ, বারুইপুর, রানাঘাট ও বহরমপুর স্টেশনের লেভেল ক্রসিং সামলানোর দায়িত্বে আরপিএফ-দের দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি স্টেশনে বাড়তি লাইট লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় নজর রাখা হবে। স্টেশনের সব জায়গায় বাড়তি অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকছে।
পুজোর দিনগুলোতে সব স্টেশনে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে শৌচাগারের ব্যবস্থাও। ভিড় সামলানোর জন্য মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে অতিরিক্ত সাধারণ কোচ বাড়ানোর কথাও ভাবা হয়েছে। জিআরপিয়ের সহযোগিতায় মহিলা, শিশু ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার খেয়াল রাখা হবে। ট্রেনে আরপিএফ এসকর্ট রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্টেশনে বাড়তি ৫টি টিকিট কাউন্টার খোলার কথাও ভাবা হয়েছে। এছাড়া, অসুস্থদের পরিষেবা দেবার জন্য রাখা থাকবে ফার্স্ট-এইড বক্স এবং বড় স্টেশনগুলিতে থাকবেন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।