ফের রক্তাক্ত জম্মু-কাশ্মীর, সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ ৪ জওয়ান

শ্রীনগর: ফের রক্ত ঝড়ল উপত্যকায় (Doda Encounter)। জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত তিন সেনা জওয়ান ও এক অফিসারের মৃত্যু…

শ্রীনগর: ফের রক্ত ঝড়ল উপত্যকায় (Doda Encounter)। জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত তিন সেনা জওয়ান ও এক অফিসারের মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার সকালে। হামলার (Doda Encounter) দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের অনুগামী সংগঠন ‘কাশ্মীর টাইগার্স’।

সোমবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের (এসওজি) জওয়ানরা ডোডা শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে দেসা ফরেস্ট বেল্টের ধারি গোটে উরারবাগিতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়। 

   

বেশ কিছুক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর জঙ্গিরা পালানোর চেষ্টা করে। ঘন জঙ্গল এবং দুর্গম এলাকায় ঢুকে যায় জঙ্গিরা। এক অফিসারের নেতৃত্বে জওয়ানকে জঙ্গিদের ধাওয়া করে। বিপদ বুঝে ফের গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। রাত ৯টা ফের দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এনকাউন্টারে পাঁচ জওয়ান গুরুতর আহত হন।

‘উদ্ধবের সঙ্গে যাঁরা প্রতারণা করলেন তাঁরা হিন্দু নন’, গেরুয়া শিবিরের চিন্তা বাড়িয়ে বললেন শঙ্করাচার্য

তাঁদের মধ্যে এক অফিসার সহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক বিবৃতিতে জঙ্গি গোষ্ঠী ‘কাশ্মীর টাইগার্স’ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী ‘মুজাহিদিনদের’ খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করার সময় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির সূত্রপাত হয়। বলে রাখা ভালো, ‘কাশ্মীর টাইগার্স’ সেই গোষ্ঠী যারা এর আগে ৯ জুলাই কাঠুয়ায় সেনা কনভয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছিল।

সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭.৪৫ টা নাগাদ দেশা বনাঞ্চল ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করার পরে সংঘর্ষে বেধে যায়। প্রাথমিকভাবে ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলা এই গুলির লড়াইয়ে জওয়ানরা আহত হন। হোয়াইট নাইট কর্পস নামে পরিচিত সেনাবাহিনীর ১৬ কোরের মতে, রাত ৯টার দিকে গুলি বিনিময় চলাকালীন জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।

পুরীর মন্দিরে রত্নভান্ডার আগলেছিল সাপ! সত্যি কি তাই? কী বলল হাইকোর্ট?

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জম্মু অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জায়গায় জঙ্গি হামলার জেরে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছিল। কখনও সেনা কনভয়ে, কখনও আবার সেনাগাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে গোলাগুলি ঘটনার জেরে তল্লাশিতে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু সেই তল্লাশি চলাকালীনই ফের রক্তাক্ত হল উপত্যকা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত তিন বছরে জম্মুতে জঙ্গি হানায় মোট ৪৭ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।