বিএসএফ নিয়োগ নীতিতে অসন্তোষ

বিএসএফের (BSF) কমাড্যান্ট পদে আইপিএসদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এবার ভাবনাচিন্তা শুরু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আইপিএসদের কেন্দ্রীয় ক্যাডারে বদলি নিয়ে আগেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে শুধুমাত্র ডিআইজি…

বিএসএফের (BSF) কমাড্যান্ট পদে আইপিএসদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এবার ভাবনাচিন্তা শুরু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আইপিএসদের কেন্দ্রীয় ক্যাডারে বদলি নিয়ে আগেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

বর্তমানে শুধুমাত্র ডিআইজি এবং তার থেকেও উচ্চ পর্যায়ে বিএসএফ, সিআরপিএফ, আইটিবিপিতে যোগ দিতে পারেন আইপিএস অফিসারা। এর ফলে, এসপি পদমর্যাদায় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীতে আরও শূন্যপদ তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত এই পদমর্যাদায় ৫০ শতাংশ পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

গতমাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিএসএফ। আইপিএস অফিসারদের যাতে কমাড্যান্ট পর্যায়ে নিয়োগ করা যায়, তার জন্য নিয়োগ পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় বদল আনতে বলেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। যদিও এই নতুন প্রস্তাবে অসন্তুষ্ট সিআরপিএফ কর্তারা।

তাঁদের দাবি, এমনিতেই বাহিনীর আধিকারিকরা তাঁদের পদোন্নতি নিয়ে খুশি নন, এই অবস্থায় আইপিএস অফিসারদের জন্য আরও পদ সংরক্ষণ করা হলে সমস্যা বাড়বে। কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর কর্তাদের বক্তব্য, ডিআইজি পর্যায়ে ৪০ শতাংশ আসন আইপিএসদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই প্রস্তাবে সম্মতি দিলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

ইতিমধ্যেই ডিআইজি পর্যায়ের শূন্যপদে আইপিএস অফিসারদের জন্য সংরক্ষণ প্রথাটি তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে সিআরপিএফ আধিকারিকরা আদালতে একাধিক আবেদন করেছেন। তাঁদের আরও দাবি, পদোন্নতির সুযোগ সেভাবে না থাকায় অনেক আধিকারিকই অ্যাসিসট্যান্ট কমাড্যান্ট পর্যায়েই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুক্তি, অনেকই সেকেন্ড ইন কম্যান্ড পদেই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন, অথচ তাঁরা সমাজে নিজেদের কাজ বা পদমর্যাদা তুলে ধরতে পারছেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই যুক্তিকে হাতিয়ার করে সিআরপিএফের দাবি, এর অর্থ, সরকার স্বীকার করে নিচ্ছে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড পদেই অনেকে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন।