Divya Pahuja: হাসতে হাসতে হোটেলে ঢুকল, টেনে নিয়ে গেল লাশ… রহস্যে ঘেরা মডেল হত্যা মামলা

গুরুগ্রাম মডেল দিব্যা পাহুজার (Divya Pahuja) চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা দিন দিন রহস্য হয়ে উঠছে। ২৭ বছর বয়সী দিব্যা, যিনি গ্যাংস্টার সন্দীপ গাদোলির বান্ধবী ছিলেন, ২…

Model Divya Pahuja

গুরুগ্রাম মডেল দিব্যা পাহুজার (Divya Pahuja) চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা দিন দিন রহস্য হয়ে উঠছে। ২৭ বছর বয়সী দিব্যা, যিনি গ্যাংস্টার সন্দীপ গাদোলির বান্ধবী ছিলেন, ২ জানুয়ারি গুরুগ্রামের একটি হোটেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড শুধু সাধারণ মানুষকেই নয়, পুলিশ ও অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও হতবাক করেছে। মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া যে বিএমডব্লিউতে করে অভিযুক্তরা দিব্যার দেহ নিয়ে পালিয়েছিল, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

কিন্তু এই ঘটনার অনেক ধাঁধার সমাধান এখনও হয়নি। পুলিশ এখনও দিব্যার মৃতদেহ খুঁজে পায়নি। তবে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক নতুন বিষয় বেরিয়ে এসেছে। এই হত্যা মামলার অনেক প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত।

  1. সবচেয়ে বড় এবং প্রথম প্রশ্ন হল দিব্যা পাহুজার দেহ কোথায়? পুলিশ এখনও দিব্যা পাহুজার মৃতদেহ খুঁজে পায়নি।
  2. দ্বিতীয় প্রশ্ন দিব্যার মোবাইল কোথায়?
  3. তৃতীয় প্রশ্ন হলো, পুলিশ ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে, কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডটি কি তেমনই সাধারণ মনে হচ্ছে?
  4. গ্রেফতারকৃত আসামি ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি?

এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পুলিশ এখনও তদন্ত করছে। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেই একটি চাঞ্চল্যকর সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে যেখানে হত্যার আগে ও পরে পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘটনার রাতে কী ঘটেছিল, ঘটনার আগে অভিজিৎ ও দিব্যা কোথায় ছিল, কখন হোটেলে গিয়েছিল এবং খুনের পর অভিযুক্তরা কীভাবে বেরিয়েছিল।

খুনের আগে ও পরে কী হয়েছিল?
হোটেল সিটি পয়েন্টের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ, যেখানে খুন হয়েছিল, সেখানে দিব্যা পাহুজাকে হোটেলে ঢুকতে দেখা গেছে। অভিজিৎ ও অন্য একজনও দিব্যার সঙ্গে ছিলেন। দুজনেই হোটেলে যায়। এই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে দিব্যা হোটেলে গিয়েছিলেন।

এরপর হোটেলের ভেতরের সিসিটিভি চেক করা হয়। ২ জানুয়ারী, ভোর ৪.১৮-এর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, প্রধান অভিযুক্ত অভিজিৎ লাল জামা পরে, এবং দিব্যাকে নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করছিলেন। এর পর তিনজনই হোটেলের রিসেপশনে পৌঁছায়।

হোটেলের লবি থেকে লাশ টেনে নিয়ে যাচ্ছে
একজন ব্যক্তি ক্যাপ এবং শাল পরা অভ্যর্থনায় দাঁড়িয়ে আছেন। তার সঙ্গে কথা হয় মূল অভিযুক্ত অভিজিতের। এই সময় মডেল দিব্যাও অভিজিতের পিছনে দাঁড়িয়েছেন। রিসেপশনে উপস্থিত ব্যক্তি মোবাইলে কিছু দেখেন এবং কাগজে কিছু লিখেন এবং তারপর ফোনে কারও সাথে কথা বলেন। এখানে অভ্যর্থনাকারী তাকে ১১১ নম্বর রুমের চাবি দেয়, তারপরে সে তার রুমে যায়।

আরেকটি সিসিটিভি সামনে এসেছে, যা ২ জানুয়ারী রাত ১০.৪৪টা বলে জানা গেছে। এই ফুটেজে দেখা গেছে, হোটেলের লবি থেকে একটি লাশ টেনে নিয়ে যাচ্ছেন দুজন। এই ফুটেজ সামনে আসার পর দিব্যার খুনের কথা জানতে পারে পুলিশ।

একটি তৃতীয় সিসিটিভিও সামনে এসেছে যেটি একই রাতে ১১.৩৯ টা থেকে বলা হয়েছে। এতে খুনের আসামি অভিজিৎকে ফিরে আসতে দেখা যায়। গুরুগ্রাম পুলিশ জানিয়েছে, এই সময় অভিজিৎ দিব্যার দেহ বিএমডব্লিউতে রেখে ফিরে আসেন।