ভোটের অঙ্কে নাভিশ্বাস, দিল্লিতে বিপুল জমায়েত সিপিআইএমের

বিভিন্ন রাজ্যে ভোটে ক্রমাগত ধাক্কা খেতে খেতে নাভিশ্বাস উঠছে সিপিআইএম (CPIM) সহ দেশের সব বাম দলগুলির। তবে ময়দান ভরাতে তাদের সাংগঠনিক দক্ষতা স্বীকার করে নিচ্ছে…

বিভিন্ন রাজ্যে ভোটে ক্রমাগত ধাক্কা খেতে খেতে নাভিশ্বাস উঠছে সিপিআইএম (CPIM) সহ দেশের সব বাম দলগুলির। তবে ময়দান ভরাতে তাদের সাংগঠনিক দক্ষতা স্বীকার করে নিচ্ছে বিজেপিও। চরম ভোট বিপর্যয়ের মাঝে ফের দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভের বিশাল জমায়েত করল সিপিআইএমের কৃষক ও শ্রমিক শাখা সহ বিভিন্ন বাম গণসংগঠন। দিল্লির রামলীলা ময়দানে লাল পতাকার ঢেউ।

এর আগে কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল বাম দলগুলি। তবে যে সব অঞ্চলে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরো়ধী কৃষক বিক্ষোভ ছিল তুঙ্গে, সেই উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবের অঞ্চলগুলিতে কংগ্রেস ও বামপন্থীরা ভোটে কোনও দাগ ফেলতে পারেনি। তবে তীব্র বিক্ষোভের জেরে মোদী সরকার বাধ্য হয়ে আইন প্রত্যাহার করে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জনবিরোধী ও কৃষক বিরোধী নীতির প্রতিবাদে বুধবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিভিন্ন রাজ্যের কৃষক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভে জমা হয়েছেন। পিটিআই জানাচ্ছে, সমাবেশে কমিউনিস্টদের পতাকা হাতে অগনিত মানুষকে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা মূল্যস্ফীতি থেকে মুক্তি, ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (এমএসপি) আইনি গ্যারান্টি, সমস্ত শ্রমিকের জন্য প্রতি মাসে ২৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি, ঋণমুক্তি, ৬০ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত কৃষকদের পেনশন, চারটি শ্রম বিরোধী আইন প্রত্যাহারের দাবি করছে। এছাড়া আছে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ২০২০ এর বিরোধিতা।

সিপিআইএম সমর্থিত তিনটি ইউনিয়ন অল ইন্ডিয়া এগ্রিকালচার ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (এআইএডব্লিউইউ), সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস (সিআইটিইউ) এবং অল ইন্ডিয়া কিষান সভা (এআইকেএস) বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।

রামলীলা ময়দানের এই বিক্ষোভে প্রায় ৩০০ শিক্ষাবিদ, অভিনেতা, লেখক, সাংবাদিক এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রবীণরা তাদের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সিটুর হরিয়ানার সহ-সভাপতি সতবীর সিং জানান, বর্তমান শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এবং হতাশার অনুভূতি ছিল এবং মানুষ মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক বিকল্প খুঁজছে।