পথকুকুর বিতর্কে ক্ষোভ, ‘খতিয়ে দেখব’, আশ্বাস প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের

নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লির রাস্তায় পথকুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সোমবার শীর্ষ আদালত রাজধানী থেকে অবিলম্বে কয়েক লক্ষ বেওয়ারিশ কুকুর সরিয়ে…

পথকুকুর বিতর্কে ক্ষোভ, ‘খতিয়ে দেখব’, আশ্বাস প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের

নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লির রাস্তায় পথকুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সোমবার শীর্ষ আদালত রাজধানী থেকে অবিলম্বে কয়েক লক্ষ বেওয়ারিশ কুকুর সরিয়ে স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয় (Delhi stray dog removal order)। জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণেই এই পদক্ষেপ বলে আদালতের পর্যবেক্ষণ। তবে এরই মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই।

বুধবার পথকুকুর সম্পর্কিত একটি মামলা জরুরি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন ওঠে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। সেখানেই তিনি জানান, “অন্য একটি বেঞ্চ তো ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে।” সোমবারের নির্দেশের প্রসঙ্গেই তাঁর এই মন্তব্য। পরে তিনি স্পষ্ট করেন, বিষয়টি বিচারপতিদের মধ্যে সমন্বয় করে খতিয়ে দেখা হবে।

   

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২৪ সালে কনফারেন্স ফর হিউম্যান রাইটস (ইন্ডিয়া) নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পথকুকুরদের নির্বীজকরণ ও টিকাকরণ সংক্রান্ত দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায়। তাদের দাবি- মানবিক পদ্ধতিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণই হোক মূল পথ। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া সেই লড়াই হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হলেও শীর্ষ আদালতে এখনও শুনানি শুরু হয়নি।

আইনজীবীরা আদালতে তুলে ধরেন ২০২৪ সালের মে মাসে বিচারপতি জেকে মহেশ্বরীর বেঞ্চের নির্দেশ- “কোনও পরিস্থিতিতেই নির্বিচারে হত্যা নয়, কর্তৃপক্ষকে আইন মেনে কাজ করতে হবে। সকল জীবের প্রতি করুণা প্রদর্শন সাংবিধানিক মূল্যবোধ।”

Advertisements

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লিতে পথকুকুরের কামড়ে জলাতঙ্কে মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকায় সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি হস্তক্ষেপ করে। নয়াদিল্লি পুরসভা (এনডিএমসি) ও দিল্লি পুরসভা (এমসিডি)-র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর আদালত জানায়- রাজধানীর সব এলাকা থেকে দ্রুত কুকুর সরিয়ে জীবাণুমুক্ত করে স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।

এছাড়া, উচ্ছিষ্ট খাবার খোলা জায়গায় না ফেলা ও ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন ব্যবহারেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কারণ- আবর্জনার স্তূপেই খাদ্যের সন্ধানে আসে বেওয়ারিশ প্রাণীরা, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও আক্রমণাত্মক আচরণের কারণ হয়ে ওঠে। আদালতের মতে, “মানুষের নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ।”