বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তানের লোক, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিজয়বতী নামে এক মহিলা ৪০ জন মানুষকে নিয়ে অভিযোগ করে বলেন,”আধিকারিকদের বর্বরতা দেখুন। তারা শুধু আমাদের ঘরের জিনিসপত্রই ভাঙচুর…

আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিজয়বতী নামে এক মহিলা ৪০ জন মানুষকে নিয়ে অভিযোগ করে বলেন,”আধিকারিকদের বর্বরতা দেখুন। তারা শুধু আমাদের ঘরের জিনিসপত্রই ভাঙচুর করেনি এবং আমাদের গালাগালি করেছে,কিন্তু মহিলা কনস্টেবলরাও আমাদের মারধর করেছে এবং আমাদের ছোট বাচ্চাদেরও রেহাই দেয়নি।” দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়াল যখন রামলীলা ময়দানে শপথ নিচ্ছেন ঠিক সেই সময়ে শাহদারার ঘুগি পাহলওয়ান এলাকার কাছে ছোট নগরে গতকাল আটটি ঘুগি ভেঙে ফেলা হয়েছিল৷

স্থানীয় পুলিশ অবশ্য জানিয়েছেন যে এই সমস্ত লোকেরা সরকারী জমিতে ঘুগি তৈরির চেষ্টা করছিল এবং পুলিশ সদস্যরা তাদের জানানোর পরেও তারা বন্ধ করেনি তাদের নির্মাণ কাজ । আসলে,পুলিশ কখনই নিজের দায়িত্বে কিছু করে না। আসলে এটি জমির মালিকানা সংস্থার কাজ ছিল। অথএব এই ধরনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখাই তাদের কাজ বলে জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।

ঘটনার চাঞ্চল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় এএপি বিধায়ক রাম নিবাস গয়ালকেও আঘাত করতে ছাড়েননি । সূত্রের খবর অনুযায়ী দলীয় স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা মুখ্যমন্ত্রীকেও এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল। এরপর বিক্ষোভ প্রত্যাহার করা হয়। গোয়েল বলেছেন,এই ঘুগিগুলি ভোটের ঠিক একদিন আগে নির্মাণ হয়েছিল। স্থানীয় জনগণ ১৩ই ফেব্রুয়ারী এই বিষয়টি সম্পর্কে আমার পাশাপাশি পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। এসিপি এবং এসএইচও সহ পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয় এবং আমি সেই কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিই। এর পরে পুলিশ তাদের তুলে নিয়েছিল,আমি তারপরেও তাদের মুক্তি নিশ্চিত করেছিলাম তারপরেও তারা না এসে অবশেষে আজ কেজরিওয়ালের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ করেছে। কিন্তু নির্বাচনের আগেই কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে শহর জুড়ে একটি ঘুগিও মুছে যাবে না এবং পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের ইন-সিটু পুনর্বাসন প্রদান করা হবে। তাই সমস্ত বিষয়কে লক্ষ্য করেই কেজরিওয়াল সেই সকল বিক্ষোভকারীদের পাকিস্তানের লোক বলেই পরিচয় দিয়েছেন।