Defence Ministry: সীমান্তে বাড়তে থাকা চ্যালেঞ্জের মধ্যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সময়ের সাথে সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনটি শাখাকে আপডেট এবং শক্তিশালী করার জন্য ক্রমাগত কাজ করে চলেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৫ বছরের আধুনিকীকরণ রোডম্যাপে মন্ত্রক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), মহাকাশ-ভিত্তিক যুদ্ধ, মানবহীন সিস্টেম এবং সরাসরি শক্তি অস্ত্রের উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। এর জন্য কয়েকশ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অধিগ্রহণ পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের অধীনে, ভূপৃষ্ঠের জাহাজ, পরবর্তী প্রজন্মের ট্যাঙ্ক, হালকা ট্যাঙ্ক, মানববিহীন যুদ্ধ বিমান যান, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, লেজার-ভিত্তিক অস্ত্র এবং একাধিক ড্রোন এবং অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমের জন্য পারমাণবিক চালনা সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর দাবি কী?
ভারতীয় সেনাবাহিনী ১,৮০০টিরও বেশি প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, ৪০০টি হালকা ট্যাঙ্ক এবং ৬ লক্ষ আর্টিলারি শেল এবং বেশ কয়েকটি মনুষ্যবিহীন বিমান ব্যবস্থা দাবি করেছে। একইভাবে, নৌবাহিনীর অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে একটি বিমানবাহী রণতরী, ১০টি পরবর্তী প্রজন্মের ডেস্ট্রয়ার, ১০টিরও বেশি ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম এবং উন্নত হেলিকপ্টার। এছাড়াও, ৫০টি ইলেকট্রনিক ডিনায়েল বাবলের চাহিদা রাখা হয়েছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী ২০টি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক এয়ারশিপ, ৩৫০টি মাল্টি-মিশন ড্রোন, ৫টি মাল্টিব্যান্ড প্রোগ্রামেবল আরএফ সেন্সর স্যাটেলাইট, ১৫০টিরও বেশি স্টিলথ মনুষ্যবিহীন যুদ্ধ বিমান (ইউসিএভি), উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার সিস্টেম এবং নির্দেশিত শক্তি অস্ত্রের দাবিও জানিয়েছে।
TPCR-2025 এর মাধ্যমে ১৫ বছরের রোডম্যাপ
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রোডম্যাপে সাইবার প্রতিরক্ষা, উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক ডিনায়েল বাবল এবং অ্যান্টি-সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেমের উপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
এই রোডম্যাপটি দেখায় যে ভারত ভবিষ্যতের যুদ্ধে অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করে তার যুদ্ধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর আগে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সশস্ত্র বাহিনীর ভবিষ্যৎ চাহিদা এবং প্রযুক্তিগত দিকনির্দেশনা সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সক্ষমতা রোডম্যাপ (TPCR-2025) এর একটি নতুন পুস্তিকা প্রকাশ করেছে।
এই পুস্তিকাটিতে আগামী ১৫ বছরে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি নীলনকশা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।