অনুমতি ছাড়াই উপচে পড়া ভিড়! পদপিষ্টের ঘটনায় কাকে দুষলেন চন্দ্রবাবু?

naidu-defends-policy-shift-amid-rising-questions

অমরাবতী: অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhrapradesh) শ্রীকাকুলাম জেলার কাশিবুগ্গা শহরের শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে (Venkateswara Swamy Temple) লোকধারণের ক্ষমতা ৩০০০। সেখানে শনিবার ভোর থেকে কার্ত্তিক একাদশী উপলক্ষে প্রায় ২৫,০০০ মানুষের ভিড় হয়।

Advertisements

পদপিষ্ট হয়ে ১০ জনের মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu) জানালেন, ‘ব্যক্তিগত সম্পত্তি’ ওই মন্দিরে যে বিপুল পরিমাণে লোকসমাগম হবে, সেই বিষয়ে প্রশাসনকে কিছু জানায়নি মন্দির কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, “কাশীবুগ্গায় ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরটি একজন ব্যক্তিগতভাবে নির্মাণ করেছিলেন। শনিবার কার্তিক একাদশীর কারণে সেখানে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়”।

   

তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, আয়োজকরা পুলিশ বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এদিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে অবহিত করেনি। যদি তারা আমাদের অবহিত করত, তাহলে পুলিশি সুরক্ষা প্রদান করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতাম। এই সমন্বয়হীনতার কারণে দশজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।” ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন চন্দ্রবাবু নাইডু।

পদপিষ্টের ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখ করেছিলেন নাইডু

Advertisements

এর আগে ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে পদপিষ্টের ঘটনায় গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhrapradesh) মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu)।

মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এক্সে লেখা হয়, “এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদানের জন্য আমি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি এবং জনপ্রতিনিধিদের এই প্রচেষ্টা তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছি।” ইতিমধ্যেই পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদেহগুলি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের পরিবারের কাছে পাঠানো হচ্ছে।