CAA কেরলে প্রয়োগ হবে না জানাল CPIM সরকার, প্রবল চাপে মমতা

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) বিধি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। তবে এই আইন বাম শাসিত কেরলে প্রয়োগ রুখল সে রাজ্যের সরকারে থাকা CPIM, তবে পশ্চিমবঙ্গে…

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) বিধি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। তবে এই আইন বাম শাসিত কেরলে প্রয়োগ রুখল সে রাজ্যের সরকারে থাকা CPIM, তবে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ চালু হবে কিনা তা সোমবার স্পষ্ট করেননি মমতা।

কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন তার রাজ্যে এই আইন প্রয়োগ করা হবে না। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে মুসলিম সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বিবেচনা করা হয়েছে। কেরলে এই আইন প্রয়োগ করা হবে না। কেরল একজোটে এই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের আইনকে প্রতিহত করবে।’’

সোমবার CAA নিয়ম জারি হওয়ার সাথে সাথে মোদী সরকার এখন তিনটি দেশ থেকে নির্যাতিত অমুসলিম অভিবাসী  হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান শুরু করল। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা নথিবিহীন অমুসলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য যারা 31 ডিসেম্বর, 2014 এর আগে ভারতে এসেছিলেন তাদের নাগরিকত্ব দেবে সরকার।

সিপিআইএম শীর্ষ নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেছেন, ‘‘বিভাজনের জন্য, সাম্প্রদায়িক ভাবাবেগে হাওয়া দেওয়ার জন্য এবং সংবিধানের মৌলিক বোঝাপড়াকে অগ্রাহ্য করার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপ। সংবিধানের বেপরোয়া লঙ্ঘন করে কেবল অ-মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে যারা ২০১৪’র ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন। কেবল বেছে নিয়ে মুসলিমদের বাদ দেওয়া হয়েছে।’’

বিজয়ন বলেছেন, ‘‘এর আগে রাজ্য ঘোষণা করেছিল যে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জী বা এনপিআর কেরালায় প্রয়োগ করা হবে না। সিএএ-এর অসাংবিধানিক চরিত্র নির্দিষ্ট করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। রাজ্যবাসী দীর্ঘ রাস্তায় মানববন্ধনও করেছেন।’’

সোমবার, সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বিধি চালু করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রাতে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি পালন করলেন। ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা হল।