আতঙ্ক বাড়িয়ে আরো দুই করোনার প্রজাতির খোঁজ মিলল ভারতে

আবার একবার ভারতে হানা দিল করোনার নয় প্রজাতি। করোনাভাইরাস আবারও ভারতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, ইনসাকগ ভারতে বিএ.৪ এবং…

আবার একবার ভারতে হানা দিল করোনার নয় প্রজাতি। করোনাভাইরাস আবারও ভারতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গিয়েছে, ইনসাকগ ভারতে বিএ.৪ এবং বিএ.৫ ওমিক্রন সাব-ভ্যারিয়েন্টের করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। এখনও পর্যন্ত দেশে তিন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। তামিলনাড়ুতে একটি এবং তেলেঙ্গানায় দুটি ঘটনার খবর মিলেছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিএ.৪ এবং বিএ.৫ ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অক্সিরনের এই দুটি রূপই সবচেয়ে সংক্রামক ভাইরাস। রবিবার ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (ইনসাকগ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তামিলনাড়ুর ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরীর শরীরে বিএ-৪ সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। রোগীর মধ্যে কেবলমাত্র হালকা লক্ষণ দেখা গেছে। তিনি করোনার টিকার ডাবল ডোজ নিয়েছেন। এমনকি তিনি সাম্প্রতিক কোনো ভ্রমণ করেছেন কিনা সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি।

এর আগে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে ওমিক্রন বিএ-৪ সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত এক দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিককে পাওয়া যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে হায়দরাবাদে এসেছিলেন ওই রোগী। এখানে বিমানবন্দরে যখন তদন্ত করা হয়, তখন এই তথ্যটি বেরিয়ে আসে এবং রোগীর উপর নজর রাখা হচ্ছে।

অন্য একটি ক্ষেত্রে, তেলঙ্গানার ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধও বিএ.৫ সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে জানা গেছে। তাঁর মধ্যে কেবলমাত্র হালকা লক্ষণ রয়েছে এবং তারা করোনা ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজ গ্রহণ করেছেন।

 

ইনসাকগ জানিয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিএ-৪ ও বিএ.৫ আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহের পর তাদের ওপর নজর রাখা হবে। ইনসাকগ জানিয়েছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। সাব-ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত রোগীদের এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই।

 

BA.4 এবং BA.5 বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। এগুলি ওমিক্রনের সমস্ত রূপ বলে মনে করা হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এ তথ্য পাওয়া যায়। এখন এই সমস্ত ভ্যারিয়েন্টের রোগী পাওয়া গিয়েছে আরও অনেক দেশেও।