Delhi: নিজের দিদিকে বিয়ের প্রস্তাব অমান্য করায় লোহার রড দিয়ে খুন

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দিল্লি। ফের দিল্লি শহরে জনসম্মুখে হাড়হিম করা খুন। শুক্রবার দক্ষিণ দিল্লির (Delhi) মালভিয়া নগরে এক কলেজ ছাত্রীকে রড দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে…

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দিল্লি। ফের দিল্লি শহরে জনসম্মুখে হাড়হিম করা খুন। শুক্রবার দক্ষিণ দিল্লির (Delhi) মালভিয়া নগরে এক কলেজ ছাত্রীকে রড দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। নার্গিস নামে ওই তরুণী কমলা নেহেরু কলেজের ছাত্রী ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল তার নিজের কাকার ছেলে। সেই প্রস্তাবে সে না করায় তাকে খুন করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির অরবিন্দ কলেজের কাছে মালভিয়া নগর পার্কে। খুনের ঘটনায় তার ২৮ বছর বয়সী কাকার ছেলে ইরফানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, তরুণীর পরিবার তাদের বিয়ে দিতে অস্বীকার করেছিলেন।কারণ ইরফানের উপার্জন তেমন ভাল ছিল না। ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সুইগির ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।

নার্গিসের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করার পর ইরফানের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। সে জানতো নার্গিস মালভিয়া নগরে কোচিং ক্লাসে পড়তেন এবং নিয়মিত সেই পার্কের মধ্য দিয়ে যেতেন যেখানে তাকে খুন করা হয়েছিল।

দুপুর ১২টা নাগাদ ইরফান পার্কে পৌঁছে নার্গিসকে জানায় সে তার সঙ্গে কথা বলতে চায়। সে কথা বলতে অস্বীকার করলে তার কাকার ছেলে তাকে লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করে। তদন্তকালে ইরফান পুলিশকে জানায়, তিন দিন আগে থেকেই সে খুনের পরিকল্পনা করেছিল।

খবর পেয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ নিহতের শরীরের কাছে একটি রড খুঁজে পায় এবং তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন নজরে আসে। এই খুনের ঘটনায় ইরফানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা খবর পেয়েছি যে দক্ষিণ দিল্লির মালভিয়া নগরের অরবিন্দ কলেজের কাছে ২৫ বছর বয়সী এক তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। এর সঙ্গেই লাশের কাছে একটি লোহার রড পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, মেয়েটিকে রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। যার কারণে মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে”।

দিল্লি কমিশন ফর উইমেন, স্বাতি মালিওয়াল, ঘটনাটির বিষয়ে টুইট করেছেন, “মালভিয়া নগরের মতো একটি জনপ্রিয় এলাকায়, একটি মেয়েকে রড দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। দিল্লি অত্যন্ত অনিরাপদ। এতে কারও কিছু যায় আসে না। খবরের কাগজে বলা হয়, মেয়েদের নাম পরিবর্তন করেও অপরাধ বন্ধ হয় না।”