অপরাধীদের অতিরিক্ত প্রচার জনপ্রিয়তা এনে দিচ্ছে বলে সম্প্রতি জানাল হরিয়ানা হাইকোর্ট। ২০২২ সালে জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে কুখ্যাত অপরাধী লরেন্স (Lawrence Bishnoi) বিশ্নোইয়ের টেলিভিশন সাক্ষাৎকার নিয়েছিল একটি সংবাদমাধ্যম। সেই সাক্ষাৎকার জেল থেকেই সম্প্রচারিত হওয়ার পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হরিয়ানা হাইকোর্ট ওই জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি শুরু করে এবং এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়।
দীর্ঘ জেরা নয়, প্রয়োজনীয় নথি আগে সংগ্রহের নির্দেশ, ইডিকে কড়া বার্তা আদালতের
বিচারপতি অনুপিন্দর সিং ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ প্রসঙ্গে পুলিশ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আদালত জানায়, একজন কুখ্যাত অপরাধীকে জেলের মধ্যে থেকে স্টুডিওর মতো পরিবেশে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া অপরাধের সমান।
এতে শুধু অপরাধীদের প্রচারই নয়, তাদের প্রতি এক ধরনের সামাজিক সম্মানও জন্ম নিচ্ছে, যা আদালতের মতে নিন্দনীয়।
মহারাষ্ট্রে বিজেপির বড় ধাক্কা! নির্বাচনের প্রার্থী দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন
আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এই ধরনের প্রচারের মাধ্যমে অপরাধীদের সাধারণ মানুষের মধ্যে অযথা জনপ্রিয় করে তোলা হচ্ছে, যা সমাজের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আদালত স্পষ্ট করে জানায়, অপরাধীদের নিয়ে এই ধরনের ‘গ্লোরিফিকেশন’ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না এবং তদন্ত সংস্থাগুলোর এমন ঘটনায় প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
পুলিশ কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের গাফিলতি থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেয় আদালত।
রাস্তার ধারে মোমো খেয়ে মৃত্যু মহিলার, অসুস্থ আরও ২০
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধীদের এই ধরনের প্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি ভুল বার্তা পাঠায়, যা সামাজিক শৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ। আদালতের এই নির্দেশ অপরাধীদের নিয়ে গ্ল্যামারাইজেশন রোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা আইনশৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।