সংখ্যাগরিষ্ঠরা ক্রমে সংখ্যালঘু হয়ে যাবে! ধর্মান্তর নিয়ে কড়া মন্তব্য আদালতের

ধর্মান্তরের প্রবণতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। আদালত আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ধর্মীয় সমাবেশে ধর্মান্তরের ধারা অব্যাহত থাকলে একদিন ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী…

ধর্মান্তরের প্রবণতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। আদালত আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ধর্মীয় সমাবেশে ধর্মান্তরের ধারা অব্যাহত থাকলে একদিন ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে।

আদালত বলেছে, ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্যে সংগঠিত ধর্মীয় সভা অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত (Allahabad High Court)। এই ধরনের ঘটনা সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারের পরিপন্থী বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

   

হাইকোর্ট বলেছে, অনুচ্ছেদ ২৫ যে কোনও নাগরিককে ধর্ম পালন, উপাসনা এবং তাঁর ধর্ম প্রচারের স্বাধীনতা দেয়। তবে ধর্ম প্রচারের স্বাধীনতা কাউকে ধর্মান্তরিত করার অনুমতি দেয় না।

আদালত আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, এটি দেখা গিয়েছে যে উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীহ দরিদ্র লোকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এবং খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় ধর্মান্তরের অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে আবেদনকারীকে জামিনে মুক্তি দেওয়া যাবে না।

ঘুম উড়েছে মোদীর! সংসদের কার্যপ্রণালী বাদ রাহুলের বক্তৃতার একাংশ

জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়াল উত্তরপ্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তরকরণ আইন ২০২১-এর ধারা ৩/৫ (১) এর অধীনে নথিভুক্ত কৈলাসের জামিন আবেদনের শুনানি করেন।

হাইকোর্ট বলেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগকারীর মতে, অভিযুক্তরা গ্রাম থেকে লোকেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল এবং তাঁদের বেশিরভাগই আর বাড়ি ফিরে আসেনি।

হিন্দুদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে হামিরপুরের মৌদহের কৈলাসের জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। রামকালী প্রজাপতি এফআইআর দায়ের করেছিলেন যে কৈলাস তাঁর মানসিকভাবে অসুস্থ ভাইকে এক সপ্তাহের জন্য দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছিল।

‘বিজেপি আমাকে তাড়িয়েছে, মানুষ ওদের ৬৩ সাংসদকে তাড়িয়েছে’, চরম আক্রমণাত্মক মহুয়া

তিনি চিকিৎসা করিয়ে রামকালীর ভাইকে গ্রামে ফিরিয়ে আনবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। এরপর কৈলাস গ্রামে ফিরে আসেন এবং দিল্লির এক অনুষ্ঠানে অনেক লোককে নিয়ে যান। সেখানে তাঁদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়।

রামকালী প্রজাপতির মতে, তাঁর ভাইকে ধর্মান্তরিত করার জন্য অর্থ দেওয়া হয়। আদালত বলেছে যে সংবিধান ধর্ম প্রচারের অনুমতি দেয়, কিন্তু ধর্মান্তরের অনুমতি দেয় না।