Assam: কামাখ্যা মন্দিরে ‘নরবলি’, হুগলির বাসিন্দা মহিলাকে খুনে ধৃত একাধিক

ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে পরিকল্পনা করে মহিলাকে খুন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ঘটনা। পাঁচ বছর ধরে টানা তদন্ত চালিয়ে কামাখ্যা মন্দিরে চাঞ্চল্যকর নরবলি তদন্তের জাল গুটিয়ে আনল অসম (Assam) পুলিশ। মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে জানানো হয়, এই খুনের ঘটনায় মোট ৯ জন ধৃত।

Human Sacrifice at Kamakhya Temple

মন্দিরের মধ্যে পড়েছিল মহিলার দেহ। মাথা থেকে ধড় আলাদা। চারদিকে চাপ চাপ রক্ত। আশেপাশে বেশকিছু পুজোর সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এক ঝলক দেখেই তদন্তকারী অফিসার বুঝে গেছিলেন এটি ‘নরবলি’ ঘটনা। ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে পরিকল্পনা করে মহিলাকে খুন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ঘটনা। পাঁচ বছর ধরে টানা তদন্ত চালিয়ে কামাখ্যা মন্দিরে চাঞ্চল্যকর নরবলি তদন্তের জাল গুটিয়ে আনল অসম (Assam) পুলিশ। মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে জানানো হয়, এই খুনের ঘটনায় মোট ৯ জন ধৃত।

অসম পুলিশ জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে কামাখ্যার জয় দুর্গা মন্দিরে যে মহিলাকে নরবলির নামে পরিকল্পিত খুন করা হয়েছিল, তাঁর নাম শান্তি শ। তিনি পশ্চিমবঙ্গ নিবাসী। তাঁর বাড়ি হুগলি জেলার তাঁতিপাড়ায়। অম্বুবাচী মেলা উপলক্ষ্যে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন শান্তি শ। তিনি নিখোঁজ এই মর্মে গুয়াহাটির জালুকবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুরেশ শ নামে এক ব্যক্তি। পরে কামাখ্যা থেকে যে মহিলার দেহ মিলেছিল তাঁকে মা বলে শনাক্ত করেছিলেন সুরেশ শ।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

অসম পুলিশ জানাচ্ছে, শান্তি শ’কে খুনের পর থেকে শুরু হয় তদন্ত। ‘নরবলি’ রহস্য সমাধানে গঠন করা হয় বিশেষ তদন্ত দল। টানা তদন্ত চালিয়ে অবশেষে রহস্য সমাধান করা গেছে। এই নরবলির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।

অসম পুলিশ জানাচ্ছে, প্রদীপ পাঠক নামে এক ব্যক্তি তার ভাইয়ের স্মরণে একটি পুজোর আয়োজন করছিলেন। তিনি এই নরবলির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রদীপ পাঠককে উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাতাপ্রসাদ পান্ডে নামে আরেকজনকে মধ্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে আর সুরেশ পাসোয়ান, কানু আচার্জি এবং ভাইয়ারাম মাওরিয়াকে গুয়াহাটি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।