NRC: ভারতীয় ঘোষণার পরেও ‘ডি নোটিশ’ অসমে, বাঙালি ভারতীর ‘দেশহীন’ আতঙ্ক

News Desk: ‘ডি নোটিশ’ শব্দটাই আতঙ্কের। ‘ডাউটফুল’ বা সন্দেহজনক তালিকায় যার নাম ওঠে সেই ব্যক্তিকে তাড়া করে দেশহীন হওয়ার আতঙ্ক। যেতে হয় ডিটেনশন ক্যাম্পে।বিশেষত অসমের…

controversial ad notice issued against bengalis in assam

News Desk: ‘ডি নোটিশ’ শব্দটাই আতঙ্কের। ‘ডাউটফুল’ বা সন্দেহজনক তালিকায় যার নাম ওঠে সেই ব্যক্তিকে তাড়া করে দেশহীন হওয়ার আতঙ্ক। যেতে হয় ডিটেনশন ক্যাম্পে।বিশেষত অসমের বাংলাভাষীদের ক্ষেত্রে আতঙ্কের নাম ‘ডি নোটিশ’।

ফরেনার্স ট্রাইবুনাল বা বিদেশি চিহ্নিতকরণ তালিকায় যে ব্যক্তিতে একবার । ভারতীয় করা হয়েছে তাকেও ফের সন্দেহভাজন নাগরিকে তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছে অসমে।

ফের এমন ঘটনাটি ঘটেছে নাম্নী অসমের বঙ্গাইগাঁও জেলার মানিকপুর থানার ২ নম্বর জামদহা গ্রামে। এই গ্রামের প্রয়াত অবিনাশ সরকার ওরফে প্রেম দাস সরকারের কন্যা ভারতী। তিনি গোপালচন্দ্র সরকারের স্ত্রী। কৃষক পরিবারের গৃহবধু ভারতী।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

১৩৭১/২০০২ সালের বিদেশি সংক্রান্ত মামলায় একই জেলার এক নম্বর বিদেশি শনাক্তকরণ ট্রাইবুনাল আদালত ২০১৯ সালে ভারতী সরকারকে ভারতীয় হিসেবে ঘোষণা করে। আদালতে পেশ করা ১০ টি তথ্যের উপর ভিত্তি করে উল্লেখিত নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৯৪৬ ফরেনার্স এক্টের ৯ ধারা অনুযায়ী আদালত ভারতী সরকারকে ভারতীয় ঘোষণা করেছে।

আশ্চর্যের বিষয়ট, বিএনজিএন/এফটি ১২০১/২০১০ এর ভিত্তিতে আরেকটি মামলায় ভারতীকে একই ট্রাইবুনালের পক্ষ থেকে ফের ‘ডি’ভোটারের নোটিস জারি করা হয়। খুবই দরিদ্র পরিবার ভারতী এই নোটিশ পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। মামলা চালাতে টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। নিজের জমি বিক্রি করে মামলার টাকা জোগাড় করেছেন।

নোটিশে বলা হয়েছে যে, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে কিনা, সেটা প্রমান করতে সেটার তথ্য সাবুদ নিয়ে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির হতে হবে। কয়েকদিন আগেই এই নোটিশ জারি করা হয়েছে।

এদিকে ,জামদহা এলাকাটি বন্যা কবলিত। কৃষক এবং খুবই দুঃস্থ পরিবারের ভারতী।একটি দরিদ্র কৃষক পরিবারের সদস্য হিসেবে ফের নোটিশ পাওয়ায় ভেঙে পড়েন ভারতী সরকার।

ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন সারা অসম বাঙালি মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক অমৃতলাল দাস। তিনি বলেন, কয়েকদিন যাবত নিম্ন অসমের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু বাঙালিদের ডি নোটিশ দেওয়া চলছে। ইচ্ছাকৃত ও আক্রোশমূকলভাবে একাজ করা হচ্ছে। শীঘ্রই এসব বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

অমৃতলাল দাসের অভিযোগ, সরকারি উদাসীনতার শিকার হচ্ছেন অসমের বাঙালিরা। বিদেশি শনাক্তের নামে প্রকৃত ভারতীয়কে হয়রানি মেনে নেওয়া যায় না। স্বরাষ্ট্র দফতর দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে এক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন অমৃত বাবু।