India-China Standoff: লাদাখ সীমান্ত তথ্য-দ্বন্দ্বে খোদ ভারত সরকার

কুড়ি মাস হয়ে গেল ভারত-চিন সীমান্তে এখনও অব্যাহত চাপানউতোর (India-China Standoff)। লাদাখে (Ladakh) ঠিক কী ঘটেছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ছবি নেই সাধারণ মানুষের কাছে। ইতিপূর্বে…

India-China Standoff

কুড়ি মাস হয়ে গেল ভারত-চিন সীমান্তে এখনও অব্যাহত চাপানউতোর (India-China Standoff)। লাদাখে (Ladakh) ঠিক কী ঘটেছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ছবি নেই সাধারণ মানুষের কাছে। ইতিপূর্বে কেন্দ্র সরকারের (Government of India) তরফে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতেও রয়েছে ধোঁয়াশা। কুহেলিকায় ঢাকা ভারত সীমান্ত-চিত্র। 

২০২০ সালের ১৯ জুন সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে ভারতীয় ভূখণ্ডে কেউ প্রবেশ করেনি। অন্য দিকে সংসদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন যে অভ্যন্তরীণ এলাকায় প্রবেশ করেছিল চিন সেনা। 

রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যর প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠতে পারে ‘অভ্যন্তরীণ’ এলাকা বলতে ঠিক কী বলতে চেয়েছেন তিনি। ভারতের জমিতে কি প্রবেশ করেছিল চিন ? এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর মেলেনি এখনও। 

২০২০ সালের আগস্টে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি জিওআই নোট ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। কারও মতে, সাইটে বলা হয়েছিল যে ১৭-১৮ মে ২০২০ এর মধ্যে তিনটি ক্ষেত্রে চিন সেনা সীমান্ত লঙ্ঘন করেছিল। দাবি যদি সত্য হয় তাহলে সেই সময় ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। কারণ মে মাসের ওই সময় দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ বেড়েছিল অনেকটাই। সীমান্তে গুলি চলেছিল বলেও সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছিল তখন । 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী একবার সংসদে দাবি করেছিলেন, ভারতীয় সেনাকে কেউ রুখতে পারবে না। পরে ওই একই কক্ষে তিনি জানিয়েছিলেন জওয়ানদের বাধা দিচ্ছে চিন। 

গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্যের স্বচ্ছতা আশা করা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কেন্দ্র এই দায়িত্ব পালনে কিছুটা হলেও ব্যর্থ বলে মনে করছেন বোদ্ধাদের একাংশ। লাদাখ সীমান্তের তথ্য প্রদানে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে তা উপরে উল্লেখিত উদাহরণগুলো থেকে অনুমান করা যেতে পরে। গোটা দেশ চালানোর দায়িত্ব চালানোর দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে রয়েছে, তাঁদের বক্তব্যের মধ্যেকার দূরত্ব প্রসঙ্গে শুরু হয়েছে লেখালেখি।