রাহুল গান্ধীর সমর্থনে বিক্ষোভে নেমে আটক বহু কংগ্রেস কর্মী

  ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর। তাই এদিন আগে থেকেই দিল্লির একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের পরিকল্পনা ছিল কংগ্রেস…

 

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর। তাই এদিন আগে থেকেই দিল্লির একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের পরিকল্পনা ছিল কংগ্রেস কর্মীদের৷ সেই খবরের আঁচ পেতেই পদক্ষেপ নিল পুলিশ। আন্দোলনরত কংগ্রেস কর্মীদের আটক করল পুলিশ।

সোমবার সকালেই একাধিক নেতাদের আটক করেছে পুলিশ। সেই সময় কংগ্রেস কর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। তবে আজ আরও কংগ্রেস নেতারা দিল্লিতে আন্দোলনে নামতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই কোনরকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে ইডি অফিসের বাইরে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কংগ্রেসের তরফে আগে থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু হিংসার ঘটনা এবং আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে তা গতকাল বাতিল করে দেওয়া হয়৷ পরে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানানো হলেও অনুমতি মেলেনি। তখন অনুমতি ছাড়াই দিল্লি সহ একাধিক শহরে বিক্ষোভে নামে কংগ্রেস।

ঘটনায় শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়ে কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আসলে বিরোধীদের কন্ঠরোধের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।

অন্যদিকে, এই মামলাতেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে তলব করে ইডি। কিন্তু তিনি কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। এরপর ২৩ জুন তলব করা হয়েছে তাঁকে।