ভোট মিটতেই বড় পদক্ষেপ কংগ্রেসের, লোকসভায় এই নেতাকে নিয়োগ দলের

উপনির্বাচনে নজিরবিহীন সাফল্যের পর আজ রবিবার বড় সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস (Congress)। গতকাল বিধানসভা উপনির্বাচনে ১৩টি আসনের মধ্যে ১০টি আসন জিতেছে ইন্ডি জোট, আর এনডিএ পেয়েছে…

উপনির্বাচনে নজিরবিহীন সাফল্যের পর আজ রবিবার বড় সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস (Congress)। গতকাল বিধানসভা উপনির্বাচনে ১৩টি আসনের মধ্যে ১০টি আসন জিতেছে ইন্ডি জোট, আর এনডিএ পেয়েছে মাত্র ২টি আসন। বিহারে রুপাওলিতে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী। হিমাচল প্রদেশে দেরা ও নালাগড়ে কংগ্রেস জিতেছে, হামিরপুরে বিজেপি জিতেছে। এরই মাঝে কংগ্রেস এই নেতাকে লোকসভায় ডেপুটি নেতা হিসাবে নিয়োগ করেছে।

জানা গিয়েছে, লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈকে দলের ডেপুটি লিডার করা হয়েছে। সাংসদ কোডিকুন্নিল সুরেশকে মুখ্য সচেতক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। অন্যদিকে এমপি মানিকম ঠাকুর এবং ডাঃ এমডি জাভেদ হুইপ নিযুক্ত করেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। টুইট বার্তায় এমনই তথ্য দিয়েছেন কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, ‘মাননীয় সিপিপি চেয়ারপার্সন শ্রীমতী সোনিয়া গান্ধীজী লোকসভার মাননীয় অধ্যক্ষকে চিঠি লিখে লোকসভায় কংগ্রেস পার্টির জন্য ডেপুটি লিডার, চিফ হুইপ এবং দু’জন হুইপ নিয়োগের কথা জানিয়েছেন। এলওপি রাহুল গান্ধীজি, কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটের সদস্য দলগুলি লোকসভায় সক্রিয়ভাবে জনগণের স্বার্থকে সমর্থন করবে।’

   

গৌরব গগৈ অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ছেলে। এর আগে তিনি ২০২০ সাল থেকে লোকসভায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের উপনেতা পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এবার কংগ্রেস প্রার্থী গৌরব গগৈ যোরহাট আসনে বিজেপির তপন কুমার গগৈকে ১৪৪৩৯৩ ভোটে পরাজিত করেছেন।

একই সময়ে, যদি আমরা কে সুরেশের কথা বলি, তবে তাকে 18 তম লোকসভায় স্পিকারের প্রার্থী করা হয়েছিল। তিনি কেরালার মানেলিকারা থেকে কংগ্রেসের সাংসদ। অষ্টমবারের মতো জয়ী হয়ে সংসদে এসেছেন তিনি। বর্তমানে তিনিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে লোকসভার সাংসদ।

 

উল্লেখ্য গতকাল হিমাচল প্রদেশে দেরা ও নালাগড়ে কংগ্রেস জিতেছে। এছাড়া মধ্যপ্রদেশে অমরওয়াড়ায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। পঞ্জাবে জলন্ধর ওয়েস্টে জিতেছে আম আদমি পার্টি। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে জিতেছে বিক্রাবন্দিতে। উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেস বদ্রীনাথ ও মঙ্গলৌড়ে জয়ী হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা ও মানিকতলায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল।