গণনা চলছে। গণনায় অনেক পিছনে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কালো টাকা (Black Money) সংগ্রহের দৌড়ে তাকে বহু পিছনে ফেলেছেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহু। আয়কর গোয়েন্দারা এই কংগ্রেস সাংসদের ওড়িশার একটি ডেরায় যে বিপুল পরিমাণ টাকার হদিস পেয়েছেন তা গুণতে গলদঘর্ম পরিস্থিতি। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদের কালো টাকার পরিমাণ ৪০০ কোটি পার করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আয়কর অ়ভিযানে রবিবার সকাল পর্যন্ত ৪০টি ব্যাগের টাকা গননা হয়েছে। আরও ১৩৬টি ব্যাগ গণনা বাকি। প্রতিটি ব্যাগে ৫০০, ২০০, ১০০ টাকার বিপুল মজুত।ঝাড়খণ্ড আর ওড়িশায় আয়কর অভিযানে কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর একাধিক ডেরা থেকে ব্যাগ ব্যাগ টাকা উদ্ধার হয়। পিটিআই জানাচ্ছে, সাংসদের ওড়িশার একটি আস্তানায় কালো টাকার পাহাড় মিলেছে। ওড়িশার বৌধ ডিস্টিলারি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে বেশিরভাগ নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদকে জেরা করে আরও সূত্র খুঁজছে আয়কর বিভাগ।
পিটিআই জানাচ্ছে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে ধীরাজ সাহুর বিভিন্ন আস্তানায় বুধবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে অভিযান চলেছে। আয়কর বিভাগ কর্মকর্তাদের মতে, কংগ্রেস সাংসদের জমানো কালো টাকা সম্পূর্ণ গুণতে আরও ২৪ ঘণ্টা লাগতে পারে। পিটিআই জানাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত করা অর্থ একটি একক অভিযানে এখনও পর্যন্ত যে কোনও সংস্থার দ্বারা “সর্বোচ্চ” কালো টাকা উদ্ধার বলে চিহ্নিত।
বিব্রত কংগ্রেস দলীয় সাংসদ ধীরজ সহুর থেকে দূরত্ব রাখছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযানের বিষয়ে বলেন, জনগণের লুট করা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী অর্পিতা (অপা জুটি) একশ কোটির টাকার পাহাড় গড়েছিল।দেশবাসী হয়েছিল হতবাক। তৃ়ণমূল সরকারের আমলে বাংলায় শিক্ষা বিভাগ সহ নিয়োগ দুর্নীতির সেই তদন্তে জেলে গেছে ‘অপা’ জুটি। তবে ‘অপা’-কে টেক্কা দিল ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহু।