Tripura: কংগ্রেস নেতা সুদীপ বর্মণ আক্রান্ত, দেহরক্ষীর রিভলভার ছিনতাই

ত্রিপুরার হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণকে প্রকাশ্যে ঘিরে ধরে মারধর করায় অভিযুক্ত শাসক দল বিজেপি। প্রাক্তন মন্ত্রীর দেহরক্ষীর রিভলভার ছিনতাই করার…

Sudip Barman

ত্রিপুরার হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণকে প্রকাশ্যে ঘিরে ধরে মারধর করায় অভিযুক্ত শাসক দল বিজেপি। প্রাক্তন মন্ত্রীর দেহরক্ষীর রিভলভার ছিনতাই করার ঘটনায় চাঞ্চল্য আগরতলায়।

সুদীপ রায় বর্মণ বিজেপি ছেড়ে পুনরায় কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তিনি রাজ্যের বিজেপি জোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজ চালানোর সংঘাত তীব্র হচ্ছিল। এক পর্যায়ে মন্ত্রিসভা থেকে সরতে হয় ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার তৈরির অন্যতম কুশীলব সুদীপ রায় বর্মণ কে। পরে তিনি দল ছাড়েন।

রবিবার প্রাক্তন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং প্রাক্তন বিধায়ক আশিস সাহার উপর একসঙ্গে হামলা হয়। সুদীপ বাবুর অভিযোগ, বিজেপির দুষ্কৃতি বাহিনী এই হামলা করেছে। সুদীপ রায় বর্মণের উপর হামলার ঘটনায় আগরতলা জুড়ে ফের চাঞ্চল্য। খবর পেয়ে আগরতলা পশ্চিম থানাপ বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ত্রিপুরায় গত আড়াই দশকের সিপিআইএম শাসনে সুদীপবাবু বারবার আগরতলা থেকে জয়ী হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এ রাজ্যে টানা ২৫ বছরের বাম জমানার পতন হয়। ক্ষমতায় আসে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট।

সেই নির্বাচনের আগে সুদীপ রায় বর্মণ ও তৎকালীন বিরোধী দল কংগ্রেসের বিধায়করা প্রথমে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যান। পরে তারা যোগ দেন বিজেপিতে। সরকার পরিবর্তনের পর সুদীপবাবু ছিলেন মন্ত্রিসভার অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। পরে তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় বিদ্রোহী বিধায়কদের বিক্ষোভ। সূত্রের খবর,আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে সুদীপ অনুগামীরা ফের বিজেপি ত্যাগ করবেন।