কর্ণাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর সড়ক পরিস্থিতি নিয়ে নগর প্রশাসনকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি সিটি সড়কের খারাপ অবস্থা এবং যানজটের সমস্যাকে কেন্দ্র করে এক রিভিউ মিটিং-এ অভিযোগ করেন, প্রশাসনের উদাসীনতা মানুষকে দৈনন্দিন কষ্টে ফেলে দিয়েছে।
সিদ্দারামাইয়া অফিসারদের এক মাসের মধ্যে সব পাথর ভাঙা গর্ত মেরামত করে শহরের সব সড়ক চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশ দেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, “মানুষের দৈনন্দিন কষ্ট কি দেখছেন না? জরুরি ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না?”। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সময়সীমার মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি ওয়ার্ড এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দেন, “কোনও ছাড় নয়, সব পাথর ভাঙা গর্ত মেরামত করতে হবে এবং সড়ক চলাচলের উপযোগী করতে হবে।”
কর্ণাটকের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বলেন, কোম্পানিগুলোর এই হুমকি বা অভিযোগ সরকারের জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি জানিয়েছেন, “সরকার এই ধরনের হুমকি বা ব্ল্যাকমেলিং নিয়ে কমই ভাবছে।” তবে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোন অবস্থাতেই নগর সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে উদাসীনতা চলবে না।
সিদ্দারামাইয়া বলেন, যারা সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি ইঞ্জিনিয়ারদের স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেন, কনট্রাক্টরদের সঙ্গে কোনও আপোষ করা যাবে না এবং অনুমোদিত তহবিল গুণগত মানসম্পন্ন জিনিস ব্যবহার করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “সড়ক সংস্কারের কাজ কেন বর্ষার আগে করা হয় না? কেন সবসময় বর্ষার সময়ে শুরু করা হয়?”। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের নীতিমালা শহরের সড়ক ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর। সিদ্দারামাইয়া নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত গ্রেটার বেঙ্গালুরু অথরিটি কমিশনার-কে মাঠপর্যায়ের পরিদর্শন ও কঠোর তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি চাইলেন, প্রকল্পের কাজের মান বজায় রাখা হোক এবং সড়ক সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন হোক।