বছর ছয়েক আগে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। কয়েকদিন আগে নীতীশ জোর গলায় বিধানসভায় ঘোষণা করেন, মদ খাওয়া মহাপাপ। যারা মদ খায় তারা ভারতীয় নাগরিক নয়। স্বাভাবিকভাবেই মদ নিষিদ্ধ বিহারে মদ পান করে কেউ ধরা পড়লে তাঁর কপালে ছিল অশেষ দুর্গতি। কারণ ধৃতকে দিতে হত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। কিন্তু প্রথমবার মদ্যপান করে কেউ ধরা পড়লে জরিমানার অংক অনেকটাই কমল বিহারে।
আর ৫০ হাজার টাকা নয়, মদ খেয়ে ধরা পড়লে দিতে হবে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা। চলতি বাজেট অধিবেশনে রাজ্যের মদ সংক্রান্ত আইন সংশোধন বিহার করেছে সরকার। সংশোধিত আইন ২০২২-এ বলা হয়েছে, প্রথমবার মদ খেয়ে কেউ পুলিশের হাতে ধরা পড়লে তাকে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আর কেউ যদি একান্তই জরিমানা দিতে না পারে তবে তাকে একমাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জরিমানার পরিমাণ কমানোর কথা জানানো হয়েছে। ২০১৮ সালের সংশোধনী অনুযায়ী মদ খেয়ে প্রথমবার ধরা পড়লে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হতো।
প্রশ্ন হল বিহার সরকার হঠাৎই কেন জরিমানার অংক এতটা কমাল? কয়েকদিন আগে বিহারের এই মদ বিরোধী আইন নিয়ে নীতীশ কুমার সরকারকে তুলধোনা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মদ বিরোধী আইনের জেরে রাজ্যের আদালতগুলিতে জমেছে মামলার পাহাড়। বেশিরভাগ মামলাই জামিনের। এই পাহাড়প্রমাণ মামলার একমাত্র কারণ বিশাল অঙ্কের জরিমানা। যে টাকা দেওয়ার দেওয়ার সামর্থ্য নেই বেশির ভাগ মদ্যপায়ীর। আবার যাদের সামর্থ্য আছে তারাও এত বিপুল পরিমাণ টাকা জরিমানা দিতে নারাজ। সে কারণেই জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতে জমছে একের পর এক মামলা। এই সব মামলার নিষ্পত্তি করতেই নীতীশ সরকার জরিমানার অংক এক ধাক্কায় ২০০০ টাকায় নামিয়ে আনল