ভারতের তৃতীয় চাঁদ মিশন চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)-র ইতিহাস তৈরির এক বছর পূর্ণ করতে চলেছে। গত বছর ২৩ অগস্ট চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে একটি রেকর্ড তৈরি করেছিল। তখন থেকেই চন্দ্রযান-৩ মিশন নিয়ে আলোচনা চলছে। ভারতের এই তৃতীয় মুন মিশন মহাকাশ খাতে বিস্ময়কর কাজ করেছে। চন্দ্রযান-৩ মহাকাশ খাতে স্টার্টআপদের উৎসাহিত করেছে।
প্রাক্তন ISRO বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ISRO-এর চন্দ্রযান ৩ মিশনের ঐতিহাসিক সাফল্য অনেক স্টার্টআপের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তামিলনাড়ুর শিল্পমন্ত্রী টিআরবি রাজাও বলেছেন যে মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ইসরোর কৃতিত্ব উদযাপন করা উচিত। ইসরোর জন্যই অনেক দিক খুলে গিয়েছে।
প্রাক্তন ISRO বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন, রাজা এবং মহাকাশ প্রযুক্তি এক্সিলারেটর ‘ভানাম’ (তামিল শব্দের অর্থ আকাশ) উৎক্ষেপণে অংশ নিয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা সমীর ভারত রাম এবং হরিহরন বেদামূর্তি।
ধর্ষক নেতার বেকারিতে বুলডোজার চালিয়ে অযোধ্যায় ‘সুপারহিরো’ যোগী!
ভারত রাম বলেছেন যে আমরা এই বছর প্রায় ৬টি স্টার্টআপের মূল্যায়ন করছি (আমাদের দক্ষতা প্রদানের জন্য)। ভারতীয় মহাকাশ অর্থনীতি, আনুমানিক ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১০ বছরে তা ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইভেন্টে আয়োজিত একটি ‘ফায়ারসাইড চ্যাট’-এ নারায়ণন বলেছিলেন যে যদিও মহাকাশ প্রযুক্তিতে প্রায় ১৮৯টি স্টার্টআপ রয়েছে, তাদের মধ্যে ‘বেশিরভাগ’ ৫০ বছর আগে ইসরো যে কাজ করেছিল, তাতে নিযুক্ত রয়েছে।
গত বছর ইসরো তৃতীয় চাঁদ মিশন চন্দ্রযান-৩ চালু করেছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল ১৪ দিন চাঁদে অবস্থান করা এবং চাঁদ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা। ২০১৯ সালে ভারতের দ্বিতীয় চাঁদ অভিযান শেষ মুহূর্তে সফল হতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বের চোখ ছিল চন্দ্রযান-৩ মিশনের দিকে।
মাত্র ১৫ মিনিটেই ১০০ কিমি পথ, বুলেট ট্রেনের ধামাকা ফাঁস রেলমন্ত্রীর
২০২৩ সালের ২৩ অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করলে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানো প্রথম দেশ হয়ে ওঠে ভারত। এর পরে, বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার ১৪ দিন ধরে চাঁদ নিয়ে গবেষণা করে এবং বিজ্ঞানীদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। ভারত সরকারও ২৩ অগস্টকে জাতীয় মহাকাশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।