অন্ধ্রপ্রদেশে একটি নতুন মিসাইল টেস্টিং রেঞ্জ (new missile testing range) স্থাপন করা হবে। এটি ভারত সরকারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি (Cabinet Committee on Security or CCS) থেকে অনুমোদন পেয়েছে। এই নতুন রেঞ্জ নাগায়ালঙ্কা এলাকায় নির্মিত হবে, যা দেশে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারত সরকার প্রতিরক্ষা খাতকে শক্তিশালী করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করছে। একদিকে বিজ্ঞানীরা নতুন ও উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তৈরি করছেন, অন্যদিকে সরকার প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নতুন প্রস্তাবও অনুমোদন করছে। সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং ডিআরডিও-র তৈরি কৌশলগত মিসাইল সিস্টেমগুলি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিসরে পরীক্ষা করা হবে।
এর আগে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ভারতীয় নৌবাহিনী, সেনা ও বিমান বাহিনীর জন্য দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে 31টি প্রিডেটর ড্রোন কেনার অনুমোদন দিয়েছে। এই বৈঠকে 80,000 কোটি টাকারও বেশি মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুমোদন করা হয়েছে। এই 31টি ড্রোনের মধ্যে, নৌবাহিনী 15টি এবং সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনী প্রতিটি 8টি ড্রোন পাবে। সেনা ও বায়ুসেনা উত্তরপ্রদেশে তাদের দুটি স্টেশনে এই ড্রোনগুলি মোতায়েন করবে।
প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে। এই ধরনের কর্মসূচির আওতায় এখানে অনেক প্রচলিত এবং কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হবে, যা দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। এই পরীক্ষাগুলো শুধু বর্তমান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকেই শক্তিশালী করবে না, ভবিষ্যতের নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের ভিত্তিও তৈরি করবে।
এই পদক্ষেপ প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি দেখায়। সম্প্রতি পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এসব পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তাও অনুভূত হয়েছে, যা দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াবে।
আগের বৈঠকে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আমেরিকান জেনারেল অ্যাটমিক্স থেকে 31টি প্রিডেটর ড্রোন কেনার অনুমোদন দিয়েছে। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বৈদেশিক সামরিক বিক্রয় চুক্তির অধীনে এই চুক্তি করা হয়েছে। এই চুক্তিটি 31 অক্টোবরের আগে অনুমোদন করতে হয়েছিল কারণ আমেরিকান প্রস্তাবের বৈধতা তখন পর্যন্ত ছিল।
তবে এখন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এর আওতায় চুক্তি স্বাক্ষরের চার বছর পর ভারত ড্রোন পাওয়া শুরু করবে। ৩১টি ড্রোনের মধ্যে ১৫টি পাবে ভারতীয় নৌবাহিনী। এছাড়াও, সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী প্রতিটি আটটি ড্রোন পাবে।