কৃত্রিম প্রজননের নিয়মে বড় বদল কেন্দ্রের 

 কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে বড় রকমের বদল আনল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন নিয়মে একবারের বেশি শুক্রাণু বা ডিম্বাণু দান করা যাবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রক মনে করছে…

 কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে বড় রকমের বদল আনল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন নিয়মে একবারের বেশি শুক্রাণু বা ডিম্বাণু দান করা যাবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রক মনে করছে একাধিকবার শুক্রাণু বা ডিম্বাণু দান করলে সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে। কারণ একই দাতার শুক্রাণু বা ডিম্বাণু থেকে একাধিক সন্তানের জন্ম হলে তাদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।

অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজি (রেগুলেশন) রুলস -২০২২ ইতিমধ্যেই গেজেট বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে কৃত্রিম প্রজননকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি স্পষ্ট জানানো হয়েছে, একজন সক্ষম পুরুষ বা মহিলা জীবনে একবার মাত্রই শুক্রাণু বা ডিম্বাণু দান করতে পারবেন। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে কোনও পুরুষ বা মহিলা যদি রাজি থাকেন তবে তাঁদের শরীর থেকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হবে। কিন্তু কেন্দ্রের এই নিয়ম সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। তাঁরা বলেছেন, কোটি কোটি শুক্রাণুর মধ্যে একটি শুক্রাণুই ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারে। তাই কৃত্রিম প্রজননে সাফল্যের হার মাত্র ১৫-২০ শতাংশের মত। কিন্তু নতুন নিয়ম চালু হলে আগামী দিনে কৃত্রিম প্রজননে আরও সমস্যা দেখা দেবে।

সে ক্ষেত্রে নিঃসন্তান দম্পতিরা জীবনে হয়তো সন্তানসুখ থেকে বঞ্চিত থেকে যাবেন। কমবে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর জোগান। তবে কয়েকজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আবার বলছেন, কৃত্রিমভাবে ডিম্বাণু সংগ্রহ করতে গেলে বেশি পরিমাণে ডিম্বাণু সংগ্রহ করতে হয়। এ জন্য যে মহিলার শরীর থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয় তাঁর উপর কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়। বারবার এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করার ফলে মহিলাদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সম্ভবত সে কারণেই এ ধরনের নিয়ম করা হয়েছে। ডিম্বাণুদাত্রী মহিলাকেও বিমার আওতায় আনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, সারোগেট মাদারকেও বিমার আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে বিমা অর্থ বহন করবেন সংশ্লিষ্ট দম্পতি।