মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হানা দিল সিবিআই

কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের (Pinarai Vijayan) সরকারি বাসভবন ক্লিফ হাউজে তল্লাশি চালাল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কয়েকজন আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে দুদফায় তল্লাশি চালায়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী…

CBI

কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের (Pinarai Vijayan) সরকারি বাসভবন ক্লিফ হাউজে তল্লাশি চালাল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কয়েকজন আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে দুদফায় তল্লাশি চালায়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বর্তমানে চিকিৎসার জন্য আমেরিকার বিখ্যাত মায়ো ক্লিনিকে ভর্তি। একটি শ্লীলতাহানির ঘটনার সূত্রে সিবিআইয়ের এই হানাদারি। শ্রীলতাহানির ঘটনাটি ঘটে মুখ্যমন্ত্রী উমেন চাণ্ডির আমলে। চাণ্ডী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই আবাসনেই থাকতেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল হইচই। এ ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি ওঠে।

যদিও চাণ্ডি ইস্তফা দিতে অস্বীকার করেন। ওই নির্যাতিতা চাণ্ডীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। উমেন চাণ্ডি ছাড়াও ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ ইবি ইডেন, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, কংগ্রেস সাংসদ আদুর প্রকাশ ও এক কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন ওই তরুণী। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ২০১২ সালে বিধায়কদের আবাসনে তিনি ধর্ষিত হয়েছিলেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উমেন চাণ্ডির এক নিরাপত্তাকর্মী ওই মহিলাকে তাঁর সরকারি বাসভবনে তলব করেছিলেন। সরকারি বাসভবনে ঘটেছে যাবতীয় কুকীর্তি। অভিযোগ সামনে আসতে রাজ্য সরকার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

   

কিন্তু তদন্তে তেমন কোনও অগ্রগতি না হওয়া দাবি ওঠে সিবিআই তদন্তের। রাজ্য সরকার চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেয়। ৫ এপ্রিল ওই নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই বিধায়কদের আবাসনে হানা দিয়েছিল। সেখান থেকে তারা বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে। এই ঘটনায় সিবিআই তিনটি মামলা দায়ের করেছে।