মধ্যবিত্তের জন্য বাজেট, না বাজেটের জন্য মধ্যবিত্ত

বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি। মূলত এই দুই চ্যালেঞ্জ ছিল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সামনে। দু’টো দিককেই সামলানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিছু জিনিসের দাম কমছে৷…

বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি। মূলত এই দুই চ্যালেঞ্জ ছিল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সামনে। দু’টো দিককেই সামলানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিছু জিনিসের দাম কমছে৷ কিন্তু প্রশ্ন থাকছে এই বাজেট আদৌ মধ্যবিত্তের জন্য হিতকর কি না।

অতিমারি, লকডাউন সত্বেও পুজোর মাসে কেনাকাটা বেড়েছিল। উৎপাদন সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকেও ‘প্রোডাক্ট’ তৈরি করা হয়েছিল সাধ্যমত। ক্রেতাদের পকেটের কথা মাথায় রেখে দাম মোটের ওপর অপরিবর্তির। তেল, রান্নার গ্যাস, তরিতরকারি ইত্যাদি রোজকার জিনিসের দাম ভুগিয়েছে সাধারণ মানুষকে। চাকরি হারিয়েছেন অনেকে৷ বেড়েছে বেকারত্ব। আরও শ্লথ হওয়ার আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি। সর্ব সাধারণকে যতটা সম্ভব বাঁচিয়ে অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর দায়িত্ব ছিল নির্মলা সীতারমনের কাঁধে।

কারখানা, উৎপাদক সংস্থা গুলোর জন্য সহায়ক অর্থ প্রদানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নির্মলা সীতারমন। চাকরির মাধ্যমে মধ্যবিত্ত এবং গরীবদের আশ্বাস দিতে চেয়েছেন তিনি। ঘুরিয়ে হয়তো চাপ বাড়ল মধ্যবিত্ত এবং উৎপাদক কোম্পানিগুলোর ওপরেই। মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই বাজেটে মধ্যবিত্তের জন্য রয়েছে লবডঙ্কা।

আরও পড়ুন: পুরভোট নিয়ে শীঘ্রই সর্বদল বৈঠকে নির্বাচন কমিশন

বাজারের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে কাঁচা মাল কিনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদেরও। ছোটো ব্যবসায়ীরাও সমস্যায় রয়েছেন। বিক্রি-বাট্টা লকডাউনের আগের মতো নেই৷ নির্মলার বাজেটে ছোটো ব্যবসায়ীরা কীভাবে লাভবান হতে পারেন সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতে পারেন। সামর্থ মতো লোন নিয়ে তুলনামূলক বড় ব্যবসাদাররা হালে পানি পেলেও পেতেন পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

কোম্পানির আয় আশানুরূপ না হলে জিনিসের দামের কথা ভাবতেই পারে। ইতিমধ্যে হয়তো ভেবেওছে। সরকারের আয়েও ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মলা সীতারমন। ধরে নেওয়া যেতে পারে ঘাটতি সর্বত্র। ঘাটতি মিটতে পারে লেনদেন আগের থেকে বেশি হলে বা বাড়লে।

বাজারে টাকা-পয়সা যতো হাত বদলাতে অর্থনীতির চাকা ততো জোরে ঘুরবে। দেশের মোট জনসংখ্যার সিংহভাগ মানুষ মধ্যবিত্ত, নিন্ম মধ্যবিত্ত এবং গরীব। বাজার ঘোরানোর চাবিকাঠি রয়েছে সমাজের তথাকথিত সাধারণ মানুষের হাতে। তারা হাত খুলে ব্যয় করতে আদৌ কি চাইবেন? পকেটে টান অনুভূত হল হাত গুটিয়ে নেওয়াই স্বাভাবিক। ফলত এই বাজেট অনেকাংশে নির্ভর করে রয়েছে আমজনতার ওপর। মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।