BSF: তালিবান জঙ্গিরা চোরাপথে ভারতে অস্ত্র পাচার করতে পারে, আশঙ্কা বিএসএফের

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের আগে সেদেশের সরকার ও মার্কিন বাহিনীর বিপুল অস্ত্র লুঠ করেছিল তালিবান জঙ্গিরা (Taliban terrorist )। জঙ্গিদের লুট করা সেই…

BSF in border

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের আগে সেদেশের সরকার ও মার্কিন বাহিনীর বিপুল অস্ত্র লুঠ করেছিল তালিবান জঙ্গিরা (Taliban terrorist )। জঙ্গিদের লুট করা সেই অস্ত্র চোরা পথে ভারতে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করল বিএসএফ (BSF)।

বিএসএফের ডিজি পঙ্কজ সিং (Pankaj Singh) জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে (Afganisthsn) জঙ্গি বাহিনীর সরকার গঠন ভারতের পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগের। এই প্রথম বিএসএফ বা সীমান্তরক্ষী বাহিনী তালিবানদের বিপদের কথা স্বীকার করল।
বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং বলেন, এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের ক্ষমতা ভোগ করছে তালিবান জঙ্গিরা। তাদের হাতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। যা ভারতের পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগের। কারণ ওই অস্ত্রশস্ত্র চোরাপথে ভারতে পাঠানো হতে পারে। জঙ্গিরা যাতে এভাবে ভারতে গোপনে অস্ত্র পাঠাতে না পারে তার জন্য ইতিমধ্যেই বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে বাড়ান হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা।

   

পঙ্কজ সিং আরও বলেন, তালিবানের হাতে যে সমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে সেগুলি তারা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের পাঠাতে চাইছে। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করতে তালিবানকে সব ধরনের মত জুগিয়েছে পাকিস্তান। তাই কৃতজ্ঞতাবশত এবার পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে পারে তালিবান। তালিবান জঙ্গিরা ইতিমধ্যেই গোপনে অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা করছে বলেও ডিজি জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তালিবান জঙ্গিরা যাতে গোপনে ভারতে অস্ত্র পাচার করতে না পারে তার জন্য সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বাহিনীর সংখ্যা।

সম্প্রতি ভারত-পাক সীমান্তে বেশ কয়েকটি ড্রোন ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। এ প্রসঙ্গে বিএসএফের ডিজি বলেন, এখনও পর্যন্ত ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি ৬৭ টি ড্রোনের দেখা মিলেছে। বেশির ভাগ ড্রোনই ছিল ছোট। সেগুলি অধিকাংশই চিনের তৈরি। এই ড্রোনের মাধ্যমে মাদক ও অস্ত্র দুই পাঠানো হচ্ছে।

ডিজি আরও বলেন, ড্রোনের গতিবিধি আটকানোর জন্য ইতিমধ্যেই সীমান্তে অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেমের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ। সে কারণে বিকল্প কোনও পদ্ধতির কথা ভাবা হচ্ছে। সীমান্তে নিরাপত্তা আরও মজবুত করতে সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্যগুলির পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে বলে বিএসএফের ডিজি জানান।