ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার কর্পোরেশনের (BBC) দিল্লি অফিসে আয়কর দফতরের অভিযানের খবর রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বিবিসি অফিস সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং সমস্ত কর্মীদের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কর্মীদের বাড়ি যেতে বলা হয়েছে। বিবিসির লন্ডন সদর দফতরেও অভিযানের কথা জানানো হয়েছে ।দিল্লির পাশাপাশি মুম্বইয়ে বিবিসির অফিসেও হানা দিয়েছে আয়কর বিভাগ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়কর বিভাগের ৬০-৭০ সদস্যের দল বিবিসি অফিসে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। অফিসে আসা-যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিবিসিতে আইটি অভিযানের খবর প্রকাশের পর সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস দল। কংগ্রেস টুইট করেছে, “প্রথমে তারা বিবিসির ডকুমেন্টারি নিষিদ্ধ করেছিল এবং এখন আয়কর বিভাগ বিবিসিতে অভিযান চালিয়েছে।” এটি একটি অঘোষিত জরুরি অবস্থা’।
সূত্রের খবর, বিবিসি কর্মীদের ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকলের ভিতরে এবং বাইরে যাতায়ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, বিবিসি অফিসের তরফে নিয়মিত করে ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। তাই এটা নিয়মিত সার্ভে। একাধিক কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ, আন্তর্জাতিক কর আইন লঙ্ঘন এবং স্থানান্তর মূল্য নির্ধারণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বিবিসি-র বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, প্রথমে বিবিসি ডকুমেন্টারি এসেছিল, নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এখন বিবিসিতে অভিযান চালিয়েছে আয়কর দফতর। অঘোষিত জরুরি অবস্থা।
২০০২-এর গুজরাত হিংসা নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরকে নিয়ে বিতর্ক চলছে দেশে। তথ্যচিত্রটিতে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা এবং ভারতে মুসলিমদের দুর্দশা তুলে ধরা হয়েছে। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি সহ একাধিক সংগঠন। বিবিসির ডকুমেন্টরির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারপরেই আয়কর হানা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।