উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপর্যয়ের কারণ কী? সামনে এল বিরাট তথ্য

লোকসভা ভোট ২০২৪-এ বিজেপির একচেটিয়া রাজত্বে থাবা বসিয়েছে ইন্ডি জোট। শুধু তাই নয়, এনডিএ জোটের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলেছে বিরোধীরা। কথিত আছে উত্তরপ্রদেশে যে দল…

bjp

লোকসভা ভোট ২০২৪-এ বিজেপির একচেটিয়া রাজত্বে থাবা বসিয়েছে ইন্ডি জোট। শুধু তাই নয়, এনডিএ জোটের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলেছে বিরোধীরা। কথিত আছে উত্তরপ্রদেশে যে দল লোকসভা ভোটে যত আসন জিতবে, সেই দল দিল্লি চালাবে! কিন্তু এইবার সেই উত্তরপ্রদেশে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপির বিজয় রথ। যোগী মডেলকে প্রায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, বিরোধীরা ছক্কা হাঁকিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। তবুও বরাত জোড়ে হাসি ফুটেছে মোদী মুখে। দেখের তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে হারের তথ্য অনুসন্ধানে মন দিয়েছেন মোদী তথা বিজেপি।

অবশেষে গ্রেফতার ট্রেনি আইএস পূজা খেদকরের মা মনোরমা, বন্দুক উঁচিয়ে কৃষককে হুমকির অভিযোগে

   

এইবার উত্তরপ্রদেশে বিজেপির খারাপ ফলের অর্ন্ততদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।এনডিটিভি থেকে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে জানা গিয়েছে, দলের তরফে একটি ১৫ পাতার রিপোর্ট গিয়েছে উপর মহলে। সেই রিপোর্টে অন্তত ৪০ হাজার মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে হারের পিছনে। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে এনডিএ জোট উত্তরপ্রদেশে ৬৪ আসন পেয়েছিল। এইবার সেই সংখ্যাটা নেমে এসেছে ৪৩। এই ফলাফলের কারণ ঘাঁটতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক তথ্য। বিজেপির অর্ন্ততদন্তে উঠে এসেছে যে অন্তত ৮% সাম্প্রদায়িক ভোট কমেছে উত্তরপ্রদেশে। আরও জানা গিয়েছে যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নাকি ভোটে খারাপ ফলের জন্য অরিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকে দুষেছেন।

শিশুদের শরীরে হু হু করে ছড়াচ্ছে ‘মারণ’ চাঁদিপুরা ভাইরাস, জানুন এর উপসর্গ

তবে দলীর রিপোর্টে প্রধানত ছয়টি বিষয়ের উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে যে প্রশাসনিক কঠোরতা, দলীর কর্মীদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন কারণ নিয়ে বিরোধ, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া, সরকারী জায়গায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ এইসব কারণকে খারাপ ফলের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কুরমি, মৌর্য এবং দলিত ভোটও নাকি বিরোধী ভোট বাঙ্কের শিবিরে গিয়ে মিশেছে বলে খবর।

এখানেই শেষ নয়, রিপোর্টে রয়েছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কাশী এবং এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে। যোগীর শক্ত ঘাঁটি গোরক্ষপুরেও বিজেপির অবস্থা তথৈবচ। উত্তরপ্রেদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য জানিয়েছেন যে, দলের সংগঠনের প্রতি জোড় দিতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অপরিচিত মুখকে ভোটে দাঁড় করানোর ফলে বিজেপির ফলাফল খারাপ হয়েছে।