Presidential Election: বিরোধীদের থেকে পিছিয়ে বিজেপি, ওষুধ খুঁজতে নাড্ডার জরুরি বৈঠক

শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি (President) রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kobind) মেয়াদ। শেষ হচ্ছে ৫৭ জন রাজ্যসভার সাংসদের মেয়াদ। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের স্ট্র‍্যাটেজি ঠিক করতে সোমবার রাতে বিজেপির…

BJP meeting

শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি (President) রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kobind) মেয়াদ। শেষ হচ্ছে ৫৭ জন রাজ্যসভার সাংসদের মেয়াদ। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের স্ট্র‍্যাটেজি ঠিক করতে সোমবার রাতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাসভবনে চলল চার ঘন্টার বৈঠক। সম্মান রক্ষার লড়াইতে জিততেই হবে। এমন সূত্র খুঁজছে বিজেপি। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জে পি নান্নার বাড়িতে এই বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ দলের অন্যান্য নেতারা।

এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি জন্য গলার কাঁটা হতে পারেন বিরোধী মনোনীত প্রার্থী। কারণ, বিজেপির কাছে সমস্ত বিধায়ক এবং সাংসদের ভোট মিলিয়ে ৪৮.৯ শতাংশ ভোট রয়েছে। আর বিরোধীদের কাছে রয়েছে ৫১.১ শতাংশ ভোট। বিরোধীদের দেওয়া প্রার্থীর কাছে বিজেপি এবং এনডিএ মনোনীত প্রার্থী হেরে যায়, সেক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা হবে শাসক শিবিরের জন্য।

   

সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটের অঙ্ক পাল্টাতে এবার বিজেপি চাইছে দুটি দলের সমর্থন। একটি হল নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল এবং ওয়াই এস আর কংগ্রেসের জগনমোহন রেড্ডির। তবে যে কোনও দলের একটির সমর্থন পেলেই বাজিমাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিরোধীদের পক্ষ থেকে শরদ পাওয়ারকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নির্বাচিত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দৌড়ে রয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর। দিল্লির পর একাধিক রাজ্যের অকংগ্রেসি এবং অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি৷ সেখানেই হয়তো অঙ্কটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

তবে বিরোধী পক্ষের নজরে রয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং তাঁর দল জেডিইউয়ের দিকে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির সঙ্গে দুরত্ব বাড়তে শুরু করেছে নীতীশের৷ আসন সংখ্যা বেশি মেলায় নীতিশকে সরিয়ে বিজেপির কাউকে মুখ্যমন্ত্রী চান বিহারের নেতারা। কিন্তু দিল্লির নেতাদের বিচক্ষণতার কারণে এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদে রাখা হয়েছে নীতীশকে।

শোনা যাচ্ছে নীতীশ কুমারের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সূত্রের খবর, তাঁকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনিত করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে নবীন পট্টনায়ককে রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। জগনের সঙ্গে কথা বলছেন জেভিএল নরশিমা রাও। কোনও মতেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হারতে নারাজ গেরুয়া শিবির।