ওয়েনাডে ভূমিধস বিপর্যয়ের কারণ গো-হত্যা! সাফ দাবি বিজেপি-র জ্ঞানদেবের

ভয়ঙ্কর অবস্থা কেরলের। ভূমিধসে বিপর্যন্ত ওয়েনাড। এখনও নিহত সাড়ে ৩০০-র বেশি। আপাতত আহতের সংখ্যা ৩০০ পার। প্রকৃতির এই তীব্র রোষের কারণ কী? রাজস্থানের প্রাক্তন বিজেপি…

BJP leader Gyandev Ahuja cow slaughter explanation for Wayanad tragedy, ওয়েনাডে ভূমিধস বিপর্যয়ের কারণ গো-হত্যা! সাফ দাবি বিজেপি-র জ্ঞানদেবের

ভয়ঙ্কর অবস্থা কেরলের। ভূমিধসে বিপর্যন্ত ওয়েনাড। এখনও নিহত সাড়ে ৩০০-র বেশি। আপাতত আহতের সংখ্যা ৩০০ পার। প্রকৃতির এই তীব্র রোষের কারণ কী? রাজস্থানের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক জ্ঞানদেব আহুজার দাবি, অনবড়ত গো-হত্যার জেরেই ওয়েনাডে ভূমিধসের ঘটনা! পাশাপাশি জ্ঞানদেবের ভবিষ্যদ্বাণী, দক্ষিণী রাজ্যটিতে গো-হত্যা বন্ধ না হলে এমন প্রাকৃতির এমন ধ্বংসলীলা চলতেই থাকবে।

গত ৩০ শে জুলাই কেরলের মুন্ডকাই, চুরামালা এবং মেপ্পাদি সহ ওয়েয়ানাডের সর্বত্র ভূমিধস হয়। রাজ্য সরকারের দেওয়া সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, কেরল ওয়েনাড ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা শনিবার ৩৫৮। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসাবশেষের নীচে এবং ধসে পড়া ঘরগুলিতে আটকে থাকা জীবিতদের সন্ধানের জন্য গভীর অনুসন্ধান রাডার ব্যবহার করা হচ্ছে।

   

কী বলেছেন জ্ঞানদেব? 

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জ্ঞানদেব আহুজার দাবি,

‘২০১৮ সাল থেকে দেখছি, যেখানেই গোহত্যা হয়, সেখানেই এমন বিপর্যয় নেমে আসে। গোহত্যা বন্ধ না হলে, এমন আরও বিপর্যয় নেমে আসবে কেরলে।’

জ্ঞানদেবের দাবি, মেঘভাঙা বৃষ্টি হোক বা ভূমিধস, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলপ্রদেশেও এমন বিপর্যয় ঘটে, কিন্তু তা কেরলের মতো ভয়াবহ নয়। কেরলে গোহত্যা হয় বলেই পরিস্থিতি এতটা ভয়ানক হয়েছে।

আগেও বিতর্কে জ্ঞানদেব-

এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্যের সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন জ্ঞানদেব। এর আগে বিজেরির এই নেতা দাবি করেছিলেন যে তিনি, পাঁচ মুসলিম যুবককে লোক দিয়ে পিটিয়ে মেরেছেন। শুধু তাই নয়, ওই যুবকদের যারা খুন করে, তাদের তিনি জামিন করিয়ে জেল থেকে বের করিয়ে আনেন বলে বরাই করেছিলেন। এবার কেরলের বিপর্যয়ের সঙ্গে গোহত্যাকে মেলালেন জ্ঞানদেব ।

বিজেপি-র তরফে অবশ্য দলের নেতার কেরন ভূমিধসের কারণ ব্যাখ্যা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।

Kolkata Airport: জলাশয় নাকি বিমানবন্দর, টার্মিনালে পৌঁছেই চমক যাত্রীদের! চক্ষু ছানাবড়া

ভূমিধসের কারণ কী?

মূলত তিন কারণে ভূমিধস হয়। কারণগুলি হল- ভূতত্ত্ব, জমির গঠন ও মানুষের কার্যকলাপ। কোনও এলাকার ভূতত্ত্ব ও জমির গঠনের উপর সেই এলাকা ভূমিধস প্রবণ হবে কিনা তা নির্ভর করে। তবে মানুষের যথেচ্ছ কার্যকলাপকে অস্বীকার করা যায় না। কেরলে সাম্প্রতিক বছরে ভূমিধসের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উঠে আসছে বহু বেআইনি নির্মাণ কাজ, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে জমিতে চাষাবাদ। এছাড়াও নিয়ম না মেনে সেচ, বনভূমি উজাড়, বেআইনি খনন কাজ, গাছ ধ্বংস ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। কেরলে অতিবৃষ্টি ভূমিধসের অন্যতম কারণ। কারণ অতিবৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত কয়েক বছর ধরে অপরিকল্পিত বাসস্থান নির্মাণ ঘন ঘন ভূমিধসের অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া গত কয়েক বছরে ভৌগলিক পরিবর্তন ঘটনায় এই সমস্যা আরও বেড়েছে। একসময় রাজ্যে বহু জলাভূমি ও হ্রদ ছিল যা বন্যার বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করত। ইদানিং অতিরিক্ত ঘরবাড়ি তৈরি হয়েছে। একাধিক জলা বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে বন্যা ও ধসের প্রকোপও বেড়েছে।