একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করেছিল নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে সেই সব প্রতিশ্রুতি মোদী সরকার কতটা পালন করেছে তা নিয়ে সকলেরই সন্দেহ আছে।
তবে মোদী-অমিত শাহদের হাত ধরে গত আট বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে ইসলামি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত এলাকার নাম পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে নিয়মিত। যেমন মুঘলসরাই স্টেশনের নাম হয়েছে দিনদয়াল উপাধ্যায়। এলাহাবাদ হয়েছে প্রয়াগরাজ। ফৈজাবাদ নাম বদলে হয়েছে অযোধ্যা।
এরই মধ্যে কার্যত নিজের শক্তি দেখিয়ে দক্ষিণ দিল্লির পুরনিগম এলাকার মহম্মদপুর গ্রামের নাম বদলে মাধবপুরম করেছেন স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর। তবে এখানেই শেষ নয়, সূত্রের খবর বিজেপি এভাবে আরও ৪০টি এলাকার নাম বদলাতে চায়। দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তা এলাকার বিভিন্ন জায়গার নাম বদলানোর জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি দিয়েছেন। আদেশ তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন, নামবদলের কারণ হল দাসত্বের বন্ধন থেকে বেরিয়ে আসা।
এই বিজেপি নেতা অত্যন্ত সুচতুরভাবে বিভিন্ন এলাকার নতুন নাম স্বাধীনতা সংগ্রামী ও দেশের অন্যান্য কৃতি সন্তানদের নামের রাখার কথা জানিয়েছেন। আদেশ গুপ্তা তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন, শাহিবাবাদ হাউজখাস, নজফগড়ের মতো এলাকার নাম বদলে গুরু গোবিন্দ সিং, রবিদাস, বাল্মিকী, মঙ্গল পান্ডে, মিলখা সিং, লক্ষ্মীবাই, লতা মঙ্গেশকর কারগিলের শহিদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রাদের নামে রাখা হোক।
দিল্লি বিজেপি জানিয়েছে, সম্প্রতি মহম্মদপুর গ্রামের নাম পরিবর্তনের জন্য পুরনিগমের কাছে প্রস্তাব দেন স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর। ওই প্রস্তাব পুরো নিগমের বৈঠকে পাস হয়ে যাওয়ায় তাঁরা সরকারি নাম ফলকের উপর গ্রামের নতুন নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন। আদেশ গুপ্তার অভিযোগ, বিশেষ একটি সম্প্রদায়কে খুশি করতেই মহম্মদপুর গ্রামের নতুন নাম পাস হয়ে গেলেও কেজরিওয়াল সরকার গ্রামের নাম পরিবর্তন করেনি। দিল্লিবাসীর দাবি মেনে নিয়ে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিতেই তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে এই কাজ করেছেন।