জাতীয় রাজনীতিতে প্রবল আলোড়ন। পূর্বতন কংগ্রেস ও বাম-মোর্চার প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া (H D Deve Gowda) সরাসরি মোদীর শিবিরে ঢুকলেন। লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল জেডিএস ও বিজেপি জোট করে লড়াই করবে। কর্নাটকে দুই দলের আসন রফা চূডান্ত। এমনই জানিয়েছে বিজেপি ও জেডিএস। এই রফা সূত্রেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একই মঞ্চে থাকবেন। জনতা দল সেকুলার নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী জানিয়েছেন কর্নাটকে জোট করে লড়াই করবে বিজেপি-জেডিএস। এ রাজ্যে ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭টি জেডিএসকে ছেড়ে দিচ্ছে বিজেপি।
লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলি একত্রিত হয়ে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে। সেই জোটে না ঢুকে বিজেপি নেতৃত্বে এনডিএ জোটে ঢুকল জেডিএস। দলটির প্রধান হিসেবে দেবেগৌড়া ১৯৯৬ সালের লোকসভা ভোটের পর যে কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্বাধীন মোর্চা গঠিত হয়েছিল তার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে সেই জোটের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শরিকদের মনোনীত ছিলেন ততকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। কমিউনিস্ট নেতা যদিও সিপিআইএমের অনুমতি পাননি, তাই প্রধানমন্ত্রী হননি। এর পর দেবেগৌড়া হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এবার লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ভারত থেকে তেমন আসন পাবে না বিজেপি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানায় সরাসরি বিজেপির প্রভাব কম। কর্নাটকে সরকার হারালেও এ রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বেশি। ফলে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটক থেকে লোকসভার জন্য কিছু আসন নির্দিষ্ট করতে চায় বিজেপি। সেক্ষেত্রে এ রাজ্যের অন্যতম দল জেডিএসের সাথে বিজেপি জোট করল। এই জোট নিয়ে চিন্তিত নই বলেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
সম্প্রতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া ঘোষণা করেছিলেন জেডিএস লোকসভা ভোটে একাই লড়াই করবে। পরে তিনি অবস্থান বদলালেন। জানা যাচ্ছে, তাঁর সাথে কথা বলেন মোদী। এর পরেই জোট হয় দুপক্ষের। যদিও বিধানসভা ভোটে দুপক্ষ আলাদা লড়াই করেছিল। তবে কংগ্রেস ঝড়ে উড়ে যায় তারা।