Uttarkashi: ওই ওরা বাইরে এলো..উত্তরকাশী থেকে বিশ্ব দেখল শ্রমিকদের উদ্ধার দৃশ্য

ওহ আয়া, ওহ আগেয়া…(ওই ওরা বেরিয়ে এলো) এমনই কথাগুলো উদ্ধারকারী দলের মুখ থেকে গোটা দেশ-বিশ্ব শুনল। উত্তরকাশী (Uttarkashi) সিল্কিয়ারা টানেলের গভীর থেকে বিশেষ পাইপে একে…

ওহ আয়া, ওহ আগেয়া…(ওই ওরা বেরিয়ে এলো) এমনই কথাগুলো উদ্ধারকারী দলের মুখ থেকে গোটা দেশ-বিশ্ব শুনল। উত্তরকাশী (Uttarkashi) সিল্কিয়ারা টানেলের গভীর থেকে বিশেষ পাইপে একে তুলে আনা হয় শ্রমিকদের। 41 জন শ্রমিক (এদের তিনজন পশ্চিমবঙ্গবাসী) গত ১৬ দিন ধরে ধসের তলায় ছিলেন। ১৭ দিনের মাথায় তারা ফের ধসের উপরে। জীবনের ভয়াবহ স্মৃতি হয়ে থেকে গেল এই ষোলটি দিন। আর থেকে গেল বিরাট হাঁ করে থাকা সিল্কিয়ারা টানেল। যে টানেল না করতে প্রকৃতি ও ভূতত্ববিদরা বারবার সরকারের কাছে বার্তা দিয়েছিলেন। সেটি কাজ চলাকালীন ভেঙে পড়েছিল।

ষোল দিন ধসের তলায় থাকা ৪১ জন শ্রমিকের উদ্ধারে পাথরে যন্ত্রে আর মানুষের সংঘর্ষ চনেছিল। সবশেষে সফল উদ্ধার অভিযান। উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রার সড়ক নির্মাণের ইতিহাসে এই সিল্কিয়ারা টানেল দুর্ঘটনা ইতিহাসের লেখা থাকল। জীবন মৃত্যুর টানা ১৬টি দিন পার করে ১৭ তম দিনে ধসের তলা থেকে বেরিয়ে এলেন শ্রমিকরা।

উদ্ধার কাজের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে ব়্যাট হোল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন খনি থেকে কাঁচামাল উত্তোলনের জন্য ‘ইঁদুরের গর্ত’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বিশেষত কয়লা খনিতে এই প্রক্রিয়া খুবই পরিচিত। এর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ শ্রমিকেরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে খনিতে নামেন। তাঁরা অল্প জায়গা নিয়ে সরু গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তে এগিয়ে চলেন। ঠিক যেমন করে গর্ত খোঁড়ে ইঁদুর। প্রয়োজনীয় কয়লা তুলে আবার ওই একই পদ্ধতিতে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।  উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের ধস থেকে ৪১ জন শ্রমিককে বার করতে সর্বশেষ সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

যে কোনও সময় ফের ধস নামতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কা নিয়েই শুরু হয় শেষ পর্বের উদ্ধার। পা়ইপ বেয়ে বাইরে আসেন শ্রমিকরা। চারিদিকে আনন্দের আবহ। স্বাগত জানাতে আনা হয় মালা। প্রথম পর্যায়ে  ১৫ জন শ্রমিক বেরিয়ে আসেন। সুড়ঙ্গের ভেতরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসক দল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি  শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন।