Bilkis Bano: বিজেপি সমর্থক ১১ ধর্ষক জেলে, স্বস্তিতে বিলকিস বানো

বিলকিস বানো (Bilkis Bano) মামলায় অভিযুক্ত ১১ জন গভীর রাতে গোধরা জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করল। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় গণধর্ষণ এবং একাধিক খুনের…

বিলকিস বানো (Bilkis Bano) মামলায় অভিযুক্ত ১১ জন গভীর রাতে গোধরা জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করল। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় গণধর্ষণ এবং একাধিক খুনের জন্য সংশোধনাগারে দণ্ডিত ১১ জন অভিযুক্ত , যাদের জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেছে বিলকিস বানো কাণ্ডে ১১ জন অভিযুক্ত।সেন্ট্রাল জেল গোধরার এক আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন যে ১১ জনই আত্মসমর্পণ করেছে। ২১ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট ১১ অভিযুক্তের আগাম মুক্তি খারিজ করে দেয়। এরপর তিন জন আত্মসমর্পণের জন্য আরও চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আর সময় দিতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত তার রায়ে জানিয়েছিল, ২১ জানুয়ারির মধ্যে সব দোষীকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট গুজরাট দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষীদের মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার।

   

যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত ১১ জন দোষীকে গুজরাট সরকার তাদের ক্ষমা নীতির অধীনে তাদের মুক্তির অনুমতি দেয়। সাজাপ্রাপ্তরা ১৫ বছরেরও বেশি সময় জেল খেটেছেন। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে বম্বে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তাদের সাজা বহাল রাখে।

বিলকিস বানোকে গুজরাটের রনধিকপুর গ্রামে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তার পরিবারের সাত জন সদস্য, যার মধ্যে তার তিন বছরের মেয়েও ছিল, ২০০২ সালের ৩ মার্চ গোধরা ট্রেন পোড়ানোর পরে শুরু হওয়া গুজরাট দাঙ্গায় নিহত হয়েছিল। সে সময় তার বয়স ছিল ২১ বছর এবং পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন।