Nitish Kumar: মোদী বিরোধিতার নেতৃত্বে নীতীশ দৌড়লেন, পিছিয়ে মমতা

বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির রথ আটকে দিয়েছিলেন(Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই তাঁকে নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়েছিল। মোদী (Modi) বিরোধী মুখ একমাত্র মমতাই।…

বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির রথ আটকে দিয়েছিলেন(Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই তাঁকে নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়েছিল। মোদী (Modi) বিরোধী মুখ একমাত্র মমতাই। এমনটা মনে করছিলেন বিরোধী শিবিরের একাংশ। কিন্তু গত কয়েক মাসে বদলে গেছে জাতীয় রাজনীতির সমীকরণ। দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন ভেঙে পড়ছে৷ পশ্চিমবঙ্গে সরকার পতনের বার্তা দিচ্ছেন বিরোধী বিজেপি নেতারা। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, এই অবস্থায় দিল্লির দৌড় ভুলেছেন মমতা। দৌড়তে শুরু করলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)।

পড়শি রাজ্য বিহারে বিজেপি জোট ত্যাগ করে অ-বিজেপি জোটের তরফে কুর্সি ধরে রাখলেন নীতীশ কুমার। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতোই বিজেপির সরকার ভেঙে দিয়েছেন নীতীশ। তাঁর শিবির বদল শুধুমাত্র পাটনার রাজনৈতিক পটভূমি বদলে দেয়নি, বদলে দিয়েছে দিল্লির বিরোধী শিবিরের অঙ্ক।

মহারাষ্ট্রের সরকার সবেমাত্র বদল হয়েছে। উদ্ধভ শিবিরের থেকেও বড় ধাক্কা পেয়েছেন মহাআগাধি সরকারের অন্যতম কারিগর এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার৷ নিজের দলের নেতাদের একের পর এক কার্যকলাপের জেরে দিল্লি গিয়ে বিরোধী শিবিরের কারোর টিকি পেলেন না মমতা৷ কিন্তু বিজেপির ঘুম ওড়ানো নীতীশ কুমার বুঝিয়ে দিলেন তিনি ২৪ এর জন্য তৈরি হচ্ছেন।

বিহারে মহাজোটের নয়া সরকার গঠনের সময় নীতীশের বক্তব্য, ছিল রাজ্য সামলাবে তেজস্বী। তখন থেকেই ধরে নেওয়া হয়েছিল মোদীর বিরুদ্ধে ঘুটি সাজাচ্ছেন প্রবীন নেতা৷ আর সেটা ফুঁটে উঠেছে সম্প্রতি তাঁর দিল্লি সফরে৷ বাম শিবিরের সমস্ত নেতাদের পাশাপাশি নীতীশ কুমার দেখা করলেন শরদ পাওয়ার ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে। একইসঙ্গে সমস্ত জনতা ফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা সারেন তিনি৷ তবে তৃণমূল নিয়ে জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য বিরোধী শিবিরের সঙ্গে তাঁর কথা হচ্ছে৷

বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, কোনও দ্বিতীয় বা তৃতীয় ফ্রন্ট নয়, একেবারে বিরোধীদের মেইন ফ্রন্ট হবে৷ ২০২৪ এর নির্বাচনে সমস্ত বিরোধী দলগুলি একজোট হবে৷ সমস্ত দলগুলি একজোট হয়ে অ্যাজেন্ডা তৈরি করবে৷

তবে বিরোধী শিবিরে মমতার চেয়ে নীতীশের ক্ষেত্রে সুবিধে হবে৷ কারণ, বাম শিবিরের সঙ্গে জোটের ক্ষেত্রে অসুবিধে হবে না৷ মঙ্গলবার ইয়েচুরি ও ডি রাজার সঙ্গে তেমনটাই ইঙ্গিত পেয়েছেন তিনি৷ একই বার্তা মিলেছে দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেও। বিহারের তিন শরীক দলের সমর্থন পেতে মোটেই অসুবিধে হবে না নীতীশের। অন্যদিকে, তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে কংগ্রেসের৷ নয়া সরকার গঠন করে কংগ্রেসের সমর্থন আদায়ে সুবিধে হয়েছে নীতীশের।

তবে জাতীয় রাজনীতির দিকে তাকিয়ে তৃণমূলের মতো বড় দলকে ছাড়া বিজেপি বিরোধিতায় জোট করতে নারাজ নীতীশ কুমার৷ কিন্তু তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের দুর্নীতির কার্যকলাপে বিধ্বস্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ক্রমে পিছোচ্ছেন তা ভালোমতো টের পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।