সিএএ চালু নয়, করোনা থেকে রক্ষা করুক সরকার: নীতীশ কুমার

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিক। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে তিনি বরাবরই বিজেপি বিরোধী…

Nitish Kumar

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিক। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে তিনি বরাবরই বিজেপি বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বললেন, সিএএ চালু নয় কেন্দ্র সরকার করোনা থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করুক।

বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বিজেপির জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু হবে। অমিত শাহর এই অবস্থানের জবাব পাটনা থেকে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

শুক্রবার জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার স্পষ্ট বলেন, দেশের করোনার সংক্রমণ ফের বাড়ছে। এখনও দেশের সব মানুষকে টিকা দিয়ে উঠতে পারেনি সরকার। এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে কীভাবে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা যাবে সেটাই এখন সবার আগে চিন্তাভাবনা করা দরকার। মানুষ বেঁচে থাকলে তবেই তো নাগরিকত্ব আইন। যদি মানুষই বেঁচে না থাকে তাহলে এ ধরনের আইন কার জন্য করা হবে।

নীতীশ কুমার আরও বলেন, আগে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। তারপর সিএএ কার্যকর করার কথা ভাবা যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যখন আইন কার্যকর হবে তখনই তাঁর দল এ বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করবে। এখন অযথা সিএএ, জাতীয় নাগরিক পঞ্জির মতো বিষয় নিয়ে হইচই করে কোন লাভ নেই। এসব করে আসলে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সবার আগে আমাদের ভাবতে হবে, কী করে মানুষকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করা যায়।

নীতীশ কুমার তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সরাসরি অমিত শাহকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন সিএএ নিয়ে বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। কবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেটাই তো এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ বিষয়টি নিয়ে অযথা মন্তব্য করার অর্থ হল রাজনৈতিক জল ঘোলা করা।

নীতীশ যেভাবে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তা বিজেপির পক্ষে যথেষ্টই অস্বস্তিজনক।

উল্লেখ্য, বিহারের বিজেপি নেতারা অবশ্য সিএএ কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা চাইছেন, সিএএ কার্যকর করে জেডিইউ-এর মুসলিম ভোট ব্যাংককে ধস নামাতে। মুসলিমরা জেডিইউ-এর পাশ থেকে সরে গেলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশের আসন নড়বড়ে হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে বিহার জয় বিজেপির কাছে অনেক সোজা হয়ে যাবে।