নয়াদিল্লি, ৫ অক্টোবর ২০২৫: বিহার বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২২ নভেম্বর। তার আগেই রাজ্যে ভোট হবে বলে রবিবার পাটনায় সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) গ্যনেশ কুমার। মোট ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২টি সংরক্ষিত থাকবে আদিবাসী (ST) ও ৩৮টি তফসিলি জাতির (SC) প্রার্থীদের জন্য।
Bihar Election 2025 ভোটারদের প্রতি বার্তা
গ্যনেশ কুমার বলেন, “আমি বিহারের প্রতিটি ভোটারকে আহ্বান জানাই এই গণতন্ত্রের উৎসবে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে। যেমন ছট পুজো উৎসবে সকলে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে যোগ দেন, তেমনভাবেই ভোটদানেও উৎসাহ দেখান।”
ভোটার তালিকা পরিশোধনে নজির
এই প্রথমবার বুথ-লেভেল অফিসারদের (BLO) বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৯০,২১৭ জন BLO-র কাজের প্রশংসা করে CEC বলেন, “বিহারের ভোটার তালিকা পরিশোধনের উদ্যোগ সমগ্র দেশের জন্য এক অনুপ্রেরণা।”
প্রস্তুতি খতিয়ে দেখল কমিশন
নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্তারা দুই দিনের সফরে এসে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, ভোটার তালিকা ও বুথের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটসূচি ঘোষণা করা হবে।
NDA বনাম মহাগঠবন্ধন
আসন্ন নির্বাচনে মূল লড়াই হবে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (NDA) এবং মহাগঠবন্ধনের মধ্যে।
🔹 NDA শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিজেপি, জেডিইউ, এইচএএম(এস) ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ১৩১ আসন রয়েছে।
🔹 মহাগঠবন্ধনের দলে আরজেডি, কংগ্রেস, সিপিআই(এমএল), সিপিআই(এম) ও সিপিআই মিলে ১১১ আসন।
উত্তপ্ত প্রচার
ভোটের দিন ঘনিয়ে আসতেই বিহারজুড়ে রাজনৈতিক কার্যকলাপ তুঙ্গে। NDA ও মহাগঠবন্ধন উভয়েই ভোটারদের আকৃষ্ট করতে তীব্র প্রচারে নেমেছে। পারস্পরিক অভিযোগ–প্রত্যাগ্রহের রাজনীতি এবং ময়দানি প্রচার ইতিমধ্যেই গতি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মত
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রশাসনিক প্রস্তুতির পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক সমীকরণও বড় ভূমিকা নেবে। শুধু বিহার নয়, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যতেও এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।