ভোপালে অটোতে বোঝাই গরুর মাংস! থানা ঘিরে বজরং দলের বিক্ষোভ

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের (Bhopal) আইশবাগ থানা এলাকায় গরুর মাংস একটি অটোরিকশা আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বজরং দলের কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। স্থানীয় সূত্র ও এক্স…

Bhopal protest bajrang dal

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের (Bhopal) আইশবাগ থানা এলাকায় গরুর মাংস একটি অটোরিকশা আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বজরং দলের কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। স্থানীয় সূত্র ও এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত পোস্ট অনুযায়ী, গত ১৮ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে বজরং দলের কর্মীরা আইশবাগ এলাকায় একটি অটোরিশায় গোমাংস বহন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে অটোটি আটক করে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুজন ব্যক্তি, যারা বাবা-ছেলে বলে জানা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বজরং দলের কর্মীরা ৮০ ফুট রোডে চক্কা জাম বা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।এক্স-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বজরং দলের কর্মীরা অটোরিশাটি আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

   

অভিযুক্তরা আইশবাগ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। বজরং দলের অভিযোগ, অটোরিশায় গোমাংস পরিবহন করা হচ্ছিল, যা মধ্যপ্রদেশে গো-হত্যা বিরোধী আইনের লঙ্ঘন। এই ঘটনার পর তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের ফলে ৮০ ফুট রোডে যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।মধ্যপ্রদেশে গোমাংস বহন বা গো-হত্যা একটি স্পর্শকাতর বিষয়। রাজ্যে গো-হত্যা নিষিদ্ধ এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে। বজরং দল, যিনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব শাখা হিসেবে পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরে গো-রক্ষার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এই ঘটনায় তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে।

এক্স-এ প্রকাশিত একটি পোস্টে বলা হয়েছে, বজরং দলের কর্মীরা অটোরিশাটি আটকের পর পুলিশকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।আইশবাগ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অটোরিশায় গোমাংস ছিল কিনা তা নিশ্চিত করতে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে, এখনও কোনো গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করা হয়নি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে।

বজরং দলের কর্মীরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।এই ঘটনা স্থানীয় জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ বজরং দলের এই পদক্ষেপকে গো-রক্ষার জন্য সঠিক বলে সমর্থন করছেন, আবার কেউ কেউ এই বিক্ষোভকে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।

Advertisements

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকে মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা দ্রুত তদন্ত করে এবং সঠিক তথ্য প্রকাশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। বজরং দলের কর্মীরা জানিয়েছেন, যদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে তারা তাদের বিক্ষোভ আরও তীব্র করবে।

ভোপালের আইশবাগ এলাকায় এই ঘটনা শুধুমাত্র স্থানীয় নয়, রাজ্যব্যাপী আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রদেশে গো-রক্ষা একটি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্পর্শকাতর বিষয়। এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ধর্মীয় ও সম্প্রদায়গত উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

দুর্গাপুজো ঘিরে সতর্ক বিধাননগর কমিশনারেট, একগুচ্ছ নতুন নির্দেশিকা

স্থানীয় বাসিন্দারা এখন শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।এই ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি এবং পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে সবার দৃষ্টি রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হলো পরিস্থিতি শান্ত রাখা এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ করা। একইসঙ্গে, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে এই ঘটনা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের আহ্বান জানানো হচ্ছে।