Watch video: ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তুলে আতিক-আশরাফকে ১৪ রাউন্ড গুলি তিন দুষ্কতীর

শনিবার একইভাবে খুন হন সঙ্গম শহরকে গুলি করে কাঁপানো আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ (Notorious gangster-turned-politician Atique Ahmed)।

Atique and Ashraf Ahmed lying on the ground after being shot in Prayagraj

শনিবার একইভাবে খুন হন সঙ্গম শহরকে গুলি করে কাঁপানো আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ (Notorious gangster-turned-politician Atique Ahmed)। পুলিশ হেফাজতে দুই ভাইকে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। বলা হচ্ছে, আতিক ও আশরাফকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যখন প্রয়াগরাজ মেডিক্যাল কলেজের কাছে পুলিশ হেফাজতে থাকা দুই ভাই মিডিয়ার সঙ্গে দেখা করে। আশরাফ তার দোসর গুড্ডু মুসলিমের নাম নেওয়ার সাথে সাথে তিনজন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত সাংবাদিকের ছদ্মবেশে এসে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। পুলিশ হতবাক হয়ে যায়।

দুর্বৃত্তরা প্রায় ১৪ রাউন্ড গুলি চালায়। প্রথম গুলিতেই দুর্বৃত্তের গুলিতে আতিক নিহত হলেও বাঁচার কোনো আশা না থাকায় গুলি চালাতে থাকে। আশরাফ ও আতিকের মাঝখানের রাস্তা রক্তে ঢেকে যাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ তিন হামলাকারীকে ধরে ফেলে। এ সময় হামলাকারীরা জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে থাকে।

Atique Ahmed, notorious gangster-turned-politician

কারা এই তিন দুষ্কৃতী?
আতিক ও আশরাফকে গুলিবিদ্ধ করা তিন দুষ্কৃতীর নাম লাভলেশ তিওয়ারি, সানি, অরুণ মৌর্য। পুলিশ এখন তিনজনের রাশিফল ​​অনুসন্ধানে ব্যস্ত। অন্যদিকে, ফরেনসিক টিম ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

প্রকৃতপক্ষে, তার মৃত্যুর আগে আতিক আহমেদ ও আশরাফ উমেশ হত্যা মামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করে। পুলিশ তথ্য পেয়েছিল যে ২৪ ফেব্রুয়ারি উমেশের হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তরা আতেকের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে জঙ্গলে নাটের ঘাঁটিতে অবস্থান করছে, একই নাট যিনি আতেকের কালো খনির ব্যবসার তত্ত্বাবধান করেন। রাতেই ধুমনগঞ্জ থানা পুলিশ আতিক ও আশরাফকে জঙ্গলের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে। যার মধ্যে একটি আমেরিকান ও একটি ভারতীয় পিস্তল ছিল। সেই সঙ্গে পাকিস্তানিসহ ৫টি কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে।