Tripura: ‘মোদী জি আমি দেশ সেবক, আমার স্ত্রী অসুরক্ষিত’ জওয়ানের অভিযোগ হামলাকারী বিজেপি

ফের এক জওয়ানের বাড়িতে ঢুকে হামলা, ভাঙচুর ও ওই জওয়ানের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করার ঘটনা ত্রিপুরায় (Tripura)। ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হামলায় উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই বাংলাভাষী প্রধান রাজ্যে চলছে হাহাকার।

ফের এক জওয়ানের বাড়িতে ঢুকে হামলা, ভাঙচুর ও ওই জওয়ানের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করার ঘটনা ত্রিপুরায় (Tripura)। ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হামলায় উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই বাংলাভাষী প্রধান রাজ্যে চলছে হাহাকার।

ফের এক জওয়ানের বাড়িতে ঢুকে হামলা, ভাঙচুর ও ওই জওয়ানের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করার ঘটনা ত্রিপুরায় (Tripura)। ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হামলায় উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই বাংলাভাষী প্রধান রাজ্যে চলছে হাহাকার। সাধারণ মানুষ যেমন আক্রান্ত তেমনই সেনা, আধা সেনা সহ বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত জওয়ানদের পরিবারও বাদ যাচ্ছে না। এবার এক অসম রাইফেলস জওয়ান সরাসরি অভিযোগ করলেন হামলার। তাঁর অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে।

ভিডিও বার্তায় ওই জওয়ানের আবেদন, দেশের সেবায় নিযুক্ত আছি। আর আমার পরিবার, স্ত্রী অসুরক্ষিত। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সরাসরি এই বার্তা পাঠিয়েছেন আক্রান্ত জওয়ান। অভিযোগ ভোটের পর তাঁর স্ত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।

   

জওয়ান সরাসরি অভিযোগ করেছেন, ফটিকরায় বিধানসভার বিজেপির বিধায়ক সুধাংশু দাসের মদতে হামলা করেছিল দুষ্কৃতিরা। তিনি বলেন, এমএলএ সুধাংশুর বড় ভাই বাপ্পা দাসের নেতৃত্বে হামলা হয়। শ্লীলতাহানির শিকার জওয়ানের স্ত্রী। আক্রাম্ত জওয়ানের বাড়ি এই ঘটনা কৈলাসহর থানার পেঁছার এলাকায়। ওই জওয়ানের স্ত্রী জানিয়েছেন কীভাবে বাড়ি ঘিরে হামলা হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন, কয়েকজন এসে গায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চড় মারে।

হামলার শিকার হয়েছেন টিএসআর (ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস) জওয়ান ও তাঁর স্ত্রী। রাজনৈতিক হামলার এই দৃশ্য এখন ত্রিপুরার গ্রামাঞ্চলে আকছার দেখা যাচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম লুঠ শুরু হয়েছে। হামলায় অভিযুক্ত শাসক দল বিজেপি। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে জ্বলছে ত্রিপুরা। অভিযোগ, জয়ের পর বিজেপির বাইক বাহিনীর হামলা চলেছে বাম সমর্থকদের উপর। সংখ্যালঘু মহল্লায় চলেছে তাণ্ডব।

অভিযোগ বিজেপি সমর্থিত ৬৭ বছরের বৃদ্ধাকে মেরে জখম করে বিজেপিরই দুষ্কৃতিরা। পূর্ণিমা দেব নামে ওই মহিলা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেননি। তাই হামলা হয়েছে। এই হামলা হয় যুবরাজনগর বিধানসভার পশ্চিম দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েতে।

নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস বন্ধ করতে এবং প্রতিটি হিংসার ঘটনায় পুলিশ যেন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে তার জন্য রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের দ্বারস্থ হয় বামফ্রন্ট কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ন কর। বিদায়ী সরকারের কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বিভিন্ন সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি প্রশাসনকে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেছেন।