Assam: চাপে পড়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত সাংবাদিককে মুক্তি দিল অসম পুলিশ

News Desk: বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দা ও সমালোচনার (Criticism)ঝড় ওঠায় শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত সাংবাদিক (journalist) অনির্বাণ রায়চৌধুরীকে (Anirban Roychudhury) ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দিল…

Journalist Anirban Roy Chowdhury

News Desk: বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দা ও সমালোচনার (Criticism)ঝড় ওঠায় শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত সাংবাদিক (journalist) অনির্বাণ রায়চৌধুরীকে (Anirban Roychudhury) ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দিল অসম (Assam) পুলিশ।

বিতর্কিত দুটি নিবন্ধ লেখার জন্য অসামের শিলচর (Silchar district) জেলার ওই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শান্তনু সূত্রধর (Santanu Sutradhar) নামে এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করে।

   

‘অসম বুলেটিন’ নামে একটি নিউজ পোর্টাল চালান অনির্বাণ। সম্প্রতি তাঁর লেখা দু’টি নিবন্ধ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ওই দুটি নিবন্ধে সাংবাদিক অনির্বাণ ১৯৬১ সালের অসমীয়া ভাষা সংশোধনী আইন এবং স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি পাওয়ার পর অনির্বাণ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁর কাছে বারবার জানতে চাইছিল যে, তিনি কেন এই ধরনের নিবন্ধ লিখেছেন? পুলিশের ধারণা, তাঁর লেখা মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। তবে অনির্বাণ পুলিশকে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর লেখার প্রতিটি শব্দ তিনি বিশ্বাস করেন এবং সঠিক বলেই মনে করেন। তাই সেগুলি বদল করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তিনি তাঁর লেখা বদল করবেন না বলে জানালেও, তদন্তে পুলিশের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে অনির্বাণ জানান।

সম্প্রতি অসমের বরাক উপত্যকায় আরও তিন জেলার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার হস্তক্ষেপ চেয়ে জেলার সাংবাদিকরা চিঠি দিয়েছেন। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, তাঁদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হোক। কাছাড় জেলার পুলিশ সুপার অবশ্য জানিয়েছেন, অনির্বাণকে ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে। তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে মুক্তি দেওয়া হলেও প্রয়োজনে আবারও ডাকা হতে পারে।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অসমের বিজেপি সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও লেখাই প্রকাশ হতে দিতে চায় না। যেহেতু অনির্বাণের লেখাগুলিতে বিজেপি সরকারের সমালোচনা ছিল তাই মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির ইঙ্গিতেই অনির্বাণকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে চাপ ওঠায় শেষ পর্যন্ত বিজেপি সরকারের পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। এটা সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিক অনির্বাণের নৈতিক জয়।