মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কাই সত্যি হল, তিহাড়েই ফিরতে হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের আবেদন আগামী ৫ জুন পর্যন্ত সংরক্ষিত রাখল রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ফলে রবিবার (২ জুন) তিহাড় জেলেই ফেরত যেতে হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ‘আবগারি…

No relief for Arvind Kejriwal by Supreme Court order

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের আবেদন আগামী ৫ জুন পর্যন্ত সংরক্ষিত রাখল রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ফলে রবিবার (২ জুন) তিহাড় জেলেই ফেরত যেতে হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।

‘আবগারি দুর্নীতি’ মামলায় গত ২১ মার্চ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে একাধিকবার জামিনের আবেদন নাকচ হয় তাঁর। শেষপর্যন্ত গত ১০ মে আপ প্রধানকে লোকসভা ভোটের প্রচারে সুযোগ দিতে ১ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট।

   

অন্তর্বর্তী জামিনের শর্ত ছিল, ২ জুন তিহাড় কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে কেজরির আর্জি ছিল, পিইটি-সিটি স্ক্যান-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক পরীক্ষার জন্য জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হোক। শীর্ষ আদালতে সেই আবেদন বিচারাধীন থাকাকালীনই গত বৃহস্পতিবার স্থায়ী জামিন চেয়ে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। যা ৫ জুন পর্যন্ত সংরক্ষিত রেখেছে ওই আদালত।

ভোটের বড় টান! মায়ের সৎকার পিছিয়ে ভোটের লাইনে ছেলেরা

জামিনের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থান কথা তুলে ধরেন কেজরির আইনজীবীরা। জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী ওজন বেড়েছে। শনিবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতারি পর থেকে পরে তাঁর ওজন কমেছে। তবে ইডি-র কৌশলীদের দাবি, কেজরির আইনজীবীর দাবি ‘অসত্য’। ‘মিথ্যা মেডিক্যাল রিপোর্ট’ জমা করার অভিযোগ তোলা হয়।

তবে তাঁকে যে তিহাড় জেলেই ফিরতে হবে তা আগেই আঁচ করে শুক্রবার সাংবাদিকদের কেজরিওয়াল বলেছিলেন যে, ‘সুপ্রিম কোর্ট আমাকে ভোট প্রচারের জন্য ২১ দিন সময় দিয়েছে। পরশু আমি তিহাড় জেলে ফিরে যাব। আমি জানি না এই লোকেরা আমাকে কত দিন জেলে রাখবেন। কিন্তু আমার জীবনীশক্তি অনেক বেশি। আমি গর্বিত, আমি জেলে যাচ্ছি স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার লড়াইয়ে নেমে। আমার ওষুধ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি জানি না এই লোকগুলো কী চেয়েছিল, কেন তারা এমন করেছে?’

সেই সঙ্গেই দিল্লিবাসীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন ছিল, দুঃখ না পেয়ে তাঁর পরিবার বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখভালের জন্য।