রাজধানী দিল্লি ( Delhi) ও সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ করেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে দিল্লিতে ফের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার কথা চিন্তা ভাবনা করছে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) সরকার।
জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ২০ এপ্রিল একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, মুখ্যসচিব বিজয় দেব-সহ রাজ্য সচিবালয়ের বেশ কয়েকজন পদস্থকর্তা উপস্থিত থাকবেন।
সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই দিল্লির ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি সরকারের কাছে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার দাবি তুলেছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাতারাতি মাস্ক ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া ছিল সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ করোনা এখনও সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি। বরং নতুন ভ্যারিয়েন্ট ফের আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর দিল্লিতে মাস্ক পরা ঐচ্ছিক করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই অধিকাংশ মানুষই আর মাস্ক পরছেন না। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার তো অনেক আগেই বন্ধ হয়েছে।
তবে শুধু দিল্লি নয়, গোটা দেশেই করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেশ কিছুটা বেড়েছে। শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১২০০ জন। যদিও করানো থেকে সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। তবে নতুন করে স্কুল খোলার পর ইতিমধ্যেই দিল্লি ও নয়ডার বেশ কয়েকটি স্কুলে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সার্বিকভাবে এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার পরিস্থিতি স্বাস্থ্যমন্ত্রককে কিছুটা উদ্বেগে রেখেছে।