ভারতের কাছ থেকে সামরিক ড্রোন কিনবে আর্মেনিয়া : রিপোর্ট

ফিলিপাইন, মালয়েশিয়ার পর এবার আর্মেনিয়া। ভারতে তৈরি যুদ্ধ ড্রোন এবং অন্যান্য অস্ত্র কেনার জন্য দিল্লি সফর করল আর্মেনিয়ান প্রতিরক্ষা প্রতিনিধি দল। এই সপ্তাহে একটি মিডিয়া…

ফিলিপাইন, মালয়েশিয়ার পর এবার আর্মেনিয়া। ভারতে তৈরি যুদ্ধ ড্রোন এবং অন্যান্য অস্ত্র কেনার জন্য দিল্লি সফর করল আর্মেনিয়ান প্রতিরক্ষা প্রতিনিধি দল। এই সপ্তাহে একটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে প্রতিনিধি দলটি একটি তালিকা নিয়ে দেশে আসে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেন। সেই তালিকায় ভারতে তৈরি ড্রোন কেনার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেছেন তাঁরা। তবে এই চুক্তি সরকারি সিলমোহর পেয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শুক্রবার ভারতে তার প্রতিনিধিদের এই সফর নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। আর্মেনিয়া আদৌ ভারতীয় সামরিক হার্ডওয়্যারে তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে কিনা তা নিয়েও বিশেষ কিছু জানা যায়নি।

এই মাসের শুরুর দিকে ইয়েরেভান সফর করে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেছেন যে ভারত এবং আর্মেনিয়া তাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাইছে। এর অংশ হিসাবে দীর্ঘমেয়াদী সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করছে দুই দেশ। বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিক সঞ্জয় ভার্মা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার উপর ভারতীয়-আর্মেনিয়ান আন্তঃসরকারি কমিশনের একটি অধিবেশনের সময় বক্তৃতা করেছিলেন, সেই সময় এই তথ্য তিনি দেন।

আর্মেনিয়ার বিদেশমন্ত্রী আরারাত মিরজোয়ান এই অধিবেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি বলেন ভারত আর্মেনিয়ার দীর্ঘদিনের বন্ধু। তাই দুই দেশের মধ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কমন ইন্টারেস্ট ফ্যাক্টরগুলি হল প্রতিরক্ষা এবং সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা।

মিরজোয়ান এপ্রিল মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করের সাথে আলোচনা করেছিলেন। আট মাসের মধ্যে এটি তাদের তৃতীয় মুখোমুখি বৈঠক। জয়শঙ্কর গত অক্টোবরে আর্মেনিয়া সফর করেন।

সংবাগসংস্থা সূত্রে খবর ভারত আর্মেনিয়াকে শুধুমাত্র বন্ধু হিসেবেই দেখে না, বরং তুরস্কের মোকাবিলা করতে বড় হাতিয়ার হিসেবেও দেখে। উল্লেখ্য, তুরস্ক বরাবরই ভারত বিরোধী। এমনকী দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান কাশ্মীর ইস্যুতে বিরোধিতা বারবার প্রকাশ করেছেন। এটা জেনে রাখা দরকার যে ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তান তুরস্ক এবং আজারবাইজানের সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব পাতিয়েছে।

নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে ২০২০ সালের আর্মেনিয়ান-আজারবাইজানি যুদ্ধের সময় পাকিস্তান আজারবাইজানকে সর্বতোভাবে সমর্থন করেছিল। অন্যদিকে, ভারত ব্রিটেন, রাশিয়া এবং ফ্রান্সের নেতৃত্বে কারাবাখ শান্তি প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে। এটি ২০২১ সালের মে মাসে আর্মেনিয়ান-আজারবাইজানীয় সীমান্ত বিরোধে আর্মেনিয়াকে সমর্থন করেছে।