Budget : বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি সমস্যায় চাপে নির্মলা

বেকারত্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অতিমারি আবহে যা প্রকট। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে আশার আলো দেখতে পাননি চাকরি প্রত্যাশীরা। চাপ বাড়ছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের ওপর।…

Budget

বেকারত্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অতিমারি আবহে যা প্রকট। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে আশার আলো দেখতে পাননি চাকরি প্রত্যাশীরা। চাপ বাড়ছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের ওপর। বাজেটের (Budget) দিকে তাকিয়ে দেশ।

২০২০ সালে অতিমারি পরবর্তী সময়ে দেশের শহরাঞ্চলে বেকারত্বের (Unemployment) হার দাঁড়ায় হয় প্রায় ২০ শতাংশ। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেকারত্বে হার আরও বেশি। লকডাউনের (Lockdown) পর প্রায় ৪০ কোটি মানুষ ভুগেছেন আর্থিক সমস্যা। এরকমই কিছু তথ্য ইতিপূর্বে প্রকাশ করেছিল ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন।

বাজেটে শুরু হওয়ার আগে বিদ্বজনদের একাংশের অনুরোধ ছিল, যে করেই হোক বেকারদের জন্য করা হোক কাজের বন্দোবস্ত। মুদ্রাস্ফীতি হলেই পরিস্থিতি হতে পারে আরও ভয়ংকর। যে করেই হোক হাল ধরতে হবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে।

বিশ্ব ব্যাঙ্কের (World Bank) অন্যতম মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু যে পরিসংখ্যা তুলে ধরেছিলেন তা চিন্তাব্যঞ্জক। বেকারত্বে বিচারে গোটা বিশ্বে ভারত রয়েছে পঞ্চম স্থানে। দেশে বেকারত্বে হার প্রায় ২৩ শতাংশ। কাছাকাছি রয়েছে আলজিরিয়া, ব্রাজিল, তুরস্ক এবং ইয়েমেন। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে বেকারত্ব সমস্যার কোনো সুরাহা করতে না পারলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে কেন্দ্রকে। খবরে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী শহরে বেকারত্বের হার ৮.৪ শতাংশ এবং গ্রামের দিকে বেকারত্বের হার ৬.২ শতাংশ।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় জিডিপি। জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে ইতিবাচক কিছু শোনাতে পারেননি নির্মলা। অর্থমন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে ৮.৫০ শতাংশে নেমে আসবে। ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি বৃদ্ধির প্রকৃত হার ছিল ৭.৩ শতাংশ। চলতি বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৯.২ শতাংশ হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছিল ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিস। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা আর্থিক সমীক্ষা বলছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে হবে ৮ থেকে ৮.৫০ শতাংশ।

জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তবুও উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখে দাম বাড়ায়নি বেশিরভাগ কোম্পানি। হাত খুলে বিক্রি-বাট্টা হয়েছে বছরের শেষের দিকে। কিন্তু বাড়তি খরচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুরনো দাম ধরে রাখা যে কোনো সংস্থার কাছে চ্যালেঞ্জ৷ সরকার পাশে না থাকতে পারলে অন্য কিছু ভাবতে পারে তারা। সার্বিকভাবে বাড়তে পারে জিনিসের দাম। নয়তো ‘কস্ট-কাট’। বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি, এই দুইয়ের সমস্যা সমাধানে অর্থমন্ত্রী কী পদক্ষেপ নেন, সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।