জঙ্গি হামলা! অবিলম্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বন্ধ করার আর্জি মোদীর কাছে

কাশ্মীর ঘাঁটিতে টানা ৩ দিন পরপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় শিহরিত সমগ্র দেশ। সেনা জওয়ান সহ বেশ কিছু সাধারণ মানুষের মৃত্যু অবধি ঘটেছে। এহেন অবস্থায় অবিলম্বে…

কাশ্মীর ঘাঁটিতে টানা ৩ দিন পরপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় শিহরিত সমগ্র দেশ। সেনা জওয়ান সহ বেশ কিছু সাধারণ মানুষের মৃত্যু অবধি ঘটেছে। এহেন অবস্থায় অবিলম্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বন্ধ করার দাবি করলেন এক নেতা।

আসলে আজ বৃহস্পতিবার বড় দাবি করে শিরোনামে উঠে এসেছেন শিবসেনার মুখপাত্র আনন্দ দুবে। তিনি বলেছেন, ‘বিগত ৩-৪ দিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি, কাঠুয়া ও ডোডায় জঙ্গি হামলা চলছে। এসব হামলায় পুলিশকর্মী, স্থানীয় বাসিন্দা ও সেনা জওয়ানরা প্রাণ হারাচ্ছেন। আজ আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিসিসিআই সভাপতি এবং ক্রীড়ামন্ত্রীকে বিদেশে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে ক্রিকেট ম্যাচ চলছে তা বন্ধ করার জন্য চিঠি লিখেছি। অবিলম্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বন্ধ করতে হবে।’

   

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষের নিরাপত্তার চেয়ে এই ম্যাচগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং পাকিস্তান ক্ষমা চাইবে, তখনই আমাদের ম্যাচ নিয়ে ভাবা উচিৎ। পাকিস্তান সরকার ও আইএসআই আমাদের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলছে। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অনুরোধ করছি বিসিসিআই এবং ক্রীড়া মন্ত্রককে পাকিস্তানের সাথে সমস্ত ম্যাচ স্থগিত করার নির্দেশ দিক দ্রুত।’

এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েকদিনে আরও হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। আগামী কিছু দিনের মধ্যে জঙ্গিরা বাড়ি, মানুষকে টার্গেট করতে পারে। পুলিশ সূত্রে খবর, শেষ এনকাউন্টারটি হয়েছে ডোডা জেলায়। এক সিন্যর পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, ‘ডোডার উঁচু এলাকায় তিন থেকে চারজন জঙ্গির একটি দল লুকিয়ে রয়েছে। এই এলাকায় তাদের খুঁজে বের করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এখনও চলছে তল্লাশি অভিযান।’

এর আগে জম্মুর ডোডা এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি অস্থায়ী অপারেশন ঘাঁটিতে জঙ্গিরা হামলা চালায়, যাতে পাঁচ সেনা জওয়ান ও এক স্পেশাল পুলিশ অফিসার আহত হন। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হয় দুই জঙ্গি। কাঠুয়া জেলার সারথাল এলাকার সীমান্তবর্তী ছতারগালা এলাকার একটি সেনা ঘাঁটিতে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের যৌথ পোস্টে এই হামলা হয়।